আজকাল হাইপ্রেসারের রোগী প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যমান। ঘাড়ে ব্যথা হলে অনেকে প্রেসার মেপে দেখেন।বেশি হলে কার্ডিওলজিস্টের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেন।প্রেসার নিয়ন্ত্রণে এলেই নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। প্রেসারের ওষুধ কখনো নিজ থেকে বন্ধ করা ঠিক না। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। অন্যান্য জটিলতাও দেখা দেবে। অনেকে মাঝেমধ্যে প্রেসারের ওষুধ খান আবার বন্ধ করে দেন। এই অভ্যাসও খারাপ।এতে কোনোভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্রণে থাকবে না। এমনকি এক সপ্তাহ না খেলেও হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোক,কিডনি বিকল হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।এমন সব প্রেসারের ওষুধ আছে যেগুলো হঠাৎ বন্ধ করলে উত্তেজনা বেড়ে যায়,মাথা ধরে,বমি বমি ভাব হয়,ঘাম হয়,রক্তচাপ বেড়ে যায়। করণীয়:ওষুধ বন্ধ করে দিলে সমবেদী স্নায়ুতন্রের কাজকর্ম বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ ওঠার পথ সুগম হয়। নিজ ইচ্ছায় প্রেসারের ওষুধ নিয়মমাফিক না খেলে ঘোরতর বিপদ হতে পারে। কোলেষ্টেরলের ওষুধ:ডাক্তার বুঝেশুনে ওষুধ দেন।প্রচলিত যে ওষুধ দেওয়া হয় তা হলো স্ট্যাটিন।কোলেষ্টেরল কমানোর কার্যকর ওষুধ।হঠাৎ স্ট্যাটিন নেওয়া বন্ধ করলে বেড়ে যেতে পারে কোলেস্টেরল।এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।অনেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন।এটা করা কোনভাবেই উচিত না। সমস্যা অনুভব করলে ডাক্তারকে তা বলতে হবে।নিজ ইচ্ছায় ওষুধ বন্ধ করলে হৃদরোগ হতে পারে। রক্তনালির সম্পর্কিত বিপর্যয় ঘটে মৃত্যুও হতা পারে। -ডাঃ শুভাগত চৌধূরী,সাবেক অধ্যক্ষ,চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ।