এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নওয়াব শাহী জামে মসজিদে নামাজের সময় ছাড়া এক মিনিটের জন্যও এ মসজিদে বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত।
এ মসজিদে একসঙ্গে দুইশ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। পাশেই শান বাঁধানো ঘাট ও কবরস্থান। পূর্বদিকের প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিমের দেয়ালে আছে তিনটি মিহরাব।
অষ্টভূজাকারের কেন্দ্রীয় মিহরাবের দুই পাশে রয়েছে বহু খাঁজওয়ালা খিলান। অন্য দুটি মিহরাবও বহু খাঁজবিশিষ্ট।
প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর বিশাল এক দীঘি মসজিদটির পাশে। মুসল্লিরা অজু করেন সেখানে।
আশপাশে সুপ্রশস্থ ও খোলামেলা জায়গাও অনেক।ওয়াকফকৃত সম্পত্তির মাধ্যমেই পরিচালিত হয় এ মসজিদ, পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা ও ঈদগাহ।
নওয়াব শাহী জামে মসজিদটি দেখতে ও চলমান কোরআন তিলাওয়াত শুনতে প্রতিদিনই আসছেন দর্শনার্থীরা।
বর্তমানে কোরআন তেলাওয়াত ও খতিবের দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন হাফেজ মো. কামরুজ্জামান, হাফেজ আব্দুল ওয়ারেজ, হাফেজ আব্দুস সামাদ, হাফেজ মো. হেদায়েত ও হাফেজ আবু হানিফ।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস হুসাইন। এ ব্যাপারে মসজিদের খতিব হাফেজ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ১৯২৭ সালে নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এ মসজিদে সার্বক্ষণিক কোরআন
তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন। নামাজের সময় ছাড়া এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয় না কোরআন তিলাওয়াত। টানা প্রায় ৯৫ বছর ধরে চলছে।