নাজমা আক্তার(২৫)বিয়ে হয়েছে ৩বছর বাড়ি কলাতলি,এখন কিছুই নাই। এক সন্তানের জননী।একমাত্র কর্মক্ষম স্বামী ছাড়া তার আর কেউ নাই এবং ভুমিহীন বলে জানালেন নাজমা আক্তার।বিধির বাম এরই মধ্যে তার স্বামী বিষম অসুস্হ। তার সংসার চালানো,স্বামীর ওষুধ পথ্য,সন্তানের দেখভাল করার মতো কেউ না থাকায় উপায়ন্তর না দেখে,কক্সবাজারের সুগন্ধা বীচে থালায় করে কাঁচা আমের ভর্তা-(আচাড়) বিক্রি করেন, আর তার সম্মুখ দিয়ে আসা-যাওয়ারত পর্যটকদের ডাকেন বিনয়ের সুরে বেলেন, আমি খুব অসহায় আসেন বোনেরা,আসেন ভাইয়ারা আচাড় খান।আমাকে আমার স্বামী সন্তানকে বাঁচান। অগত্যা আমি তার সামনে গেলাম, তার সামনে দাঁড়ানো মাত্রই কেঁদে কেঁদে বলেন আন্কেল,আমার জন্য একটু দোয়া করেন,আমি যেন অতি তাড়াতাড়ি মরতে পারি। তার এসব দেখে আমার ভিতরে হৃদয় টা হঠাৎ নাড়া দেয়। অনিচ্ছা সত্তে জিজ্ঞাসা করলাম আচাড়ের প্লেট কত? বলেন ৩০টাকা। নিলাম একপ্লেট,তাকে ৫০টাকার একটি নোট দিয়ে আমার গন্তব্যের দিকে ছুটলাম।পিছনে ডেকে বলেন আন্কেল আপনি ২০টাকা ফেরত পাবেনতো।আমি বললাম ওটা তুমি রেখে দাও। সে আবারও দোয়া করতে বলেন ও মৃত্যু কামনা করেন। আমি এক কদম সামনে গিয়ে বলি আম্মু দুনিয়াটা অনেক কঠিন। যে উপর ওয়ালা সৃষ্টি করেছেন তাকে বলো। জীবনের মালিক কেবল একজনই,উনি আল্লাহ ছাড়া কেউ কিছু করার নাই। জগত সংসারে এমন অনেক দেখা যায়,কিন্তু কেউ কাউকে প্রকাশ করতে পারেন না। আল্লাহ মেয়েটার সহায় হউন।