সৈয়দ ওমর ফারুক, তথ্য সংগ্রহেঃ
দেহে রক্তের সিষ্টোলিক চাপ (ওপরেরটা) ১০০ থেকে ১৩০ আর ডায়াষ্টোলিক (নিচেরটা) ৬০ থেকে ৮০ মিমি পারদ থাকে। এটা রক্তের স্বাভাবিক চাপ। তবে কারো রক্তের সিষ্টোলিক চাপ যদি ৯০মিমি পারদের নিচে এবং ডায়াষ্টোলিক চাপ ৬০ মিমি’র নিচে থাকে,সেটি হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ।কোনো রোগ বা শারীরিক অবস্হার লক্ষণ বা পরিণতি হিসেবে নিম্ন রক্তচাপ চিহ্নিত হতে পারে।রক্তচাপ যখন শরীরের সব জায়গার রক্ত পৌছানোর জন্য যথেষ্ট হয় না,তখন এ অবস্হাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা যেতে পারে। কারণ: নির্দিষ্ট একক কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয় না। এর নানা কারণ থাকে। দীর্ঘমেয়াদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস,হৃদরোগ,হরমোনজনিত রোগ নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে।এ ছাড়া দেহে রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া বা রক্তস্বল্পতা,ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করা,অপর্যাপ্ত তরল গ্রহণ,বমি, ডায়রিয়া, পানিশুন্যতা,অতিরিক্ত পরিশ্রম,দুশ্চিন্তা, ভয় বা স্নায়ুর দুর্বলতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।যেকোনো কারণে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি রক্ত যদি শরীর থেকে হারিয়ে যায়,সে ক্ষেত্রেও রক্তচাপ হ্রাস পায়।লক্ষণ সমুহঃ শরীরে দুর্বলতা,শ্বাসকষ্ট,মাথা ঘোরা,বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া,চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা,বমিভাব হওয়া,শারীরিক বা মানসিক অবসাদ,তৃষ্ণা অনুভুত হওয়া, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন হওয়া। হঠাৎ নিম্ন রক্তচাপ হলেঃ হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তার শরীরে পর্যাপ্ত ফ্লুইড প্রবেশ করাতে হবে।তাৎক্ষণিক খাওয়াতে হবে ডাব,স্যালাইন,চা,চকোলেট,পানি,দুধ বা অন্য কিছু যাই হোক না কেন।গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো,তাকে পানিয়জাতীয় কিছু খেতে দিতে হবে।শরীরে জলীয় অংশের পরিমাণ বাড়ালে কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসছে।