সৈয়দ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঈদযাত্রার রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। ফলে কয়েক দশক ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িঁয়ে টিকিট কাটার জন্য আর যাত্রীদের হয়রানি হতে হচ্ছে না।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগাম টিকিট। আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। তবে ঈদযাত্রায় যেসব রুটে টিকিটের চাহিদা বেশি থাকে, সে রুটগুলোতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
পর্যায়ক্রমে ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল, ১৯ এপ্রিলের টিকিট ৯ এপ্রিল, ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল এবং ২১ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ১১ এপ্রিল তারিখে।
আর ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে। ট্রেনগুলো হলো- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ৩, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ ও ৪, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল-৬, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল, সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদ স্পেশাল-১০, ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ১৪ ও ১৫, পঞ্চগড় রুটে ঈদ স্পেশাল-১ ও ২।
আর উত্তরবঙ্গের পোশাক শ্রমিকদের জন্যে গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ে যাবে বিশেষ আরেকটি ট্রেন।
অন্যদিকে শুধু শোলাকিয়ায় ঈদের জামায়াতের যাত্রীদের জন্যে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ও শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৩ ও ১৪ চলবে।
যাত্রীদের প্রতি রেলওয়ের নির্দেশনা:
গত ২ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট কাটার ব্যবস্থা কার্যকর হয়।
১ এপ্রিল থেকে কাউন্টার ও অনলাইনের মাধ্যমে যুগপৎভাবে সব টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। অর্থাৎ অনলাইন বা কাউন্টারে আলাদা কোটা তুলে দেয়া হয়েছে।
১৭ থেকে ৩০ এপ্রিল সূচি ধরে ঈদের অগ্রিম ও ফিরতি যাত্রার টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
ঈদের অগ্রিম টিকিট ও ফিরতি যাত্রার টিকিটের ক্ষেত্রে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। একজন নিবন্ধনকৃত যাত্রীর সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি/জন্মনিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
ঈদে অগ্রিম ও ফিরতি যাত্রার টিকিট বিদ্যমান রিফন্ড রুল অনুযায়ী শুধু অনলাইনের মাধ্যমে রিফান্ড করা যাবে।
রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও বিশেষ শ্রেণির (প্রতিবন্ধী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর জন্য) সংরক্ষিত টিকিট স্টেশনে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে ইস্যু করা হবে।
ইন্টারনেটে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ঈদ অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে।
স্পেশাল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে।