রুপম চাকনা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
চলতি বছরে বিগত বছরগুলোর চেয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় পাহাড়ি লিচু দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা আছে অনেক, এ কারণে বাঘাইহাট উজো বাজারগুলোতে বেড়েছে পাহাড়ি লিচুর কেনা-বেচা। চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
বাঘাইছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার এ উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে ১ হাজার টনের বেশী লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার বেশি উৎপাদন হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি বাজারগুলোতে কিছুটা লিচু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। পরিপক্ব লিচু পাতাসহ দেখতে আলাদা এক অনুভূতি। প্রতিদিনই পাহাড়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বাজারে আনা হচ্ছে এসব লিচু।
উপজেলার বঙ্গলতলি, জারুলছড়ি মাচালং, গঙ্গারম, উজো বাজার গুলোতে লিচুর আকার অথবা সাইজ ও রঙের ওপর নির্ভর করেই হাঁকা হচ্ছে দাম। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দর কষাকষির পরেই মূল ্য নির্ধারণের পর বেচাকেনা শেষ হচ্ছে।
সাজেকে মাচালং মিলন চাকমা নামের এক কৃষক বলেন, এ বছর আমার লিচু বাগানে ভালো ফলন হয়েছে। তাছাড়া, বাজারে লিচুর ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমরা অনেক খুশি। বর্তমানে দেশী ও বোম্বাই জাতের মধ্যে চাহিদা প্রচুর। তবে বিদেশী জাত চায়না থ্রী ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।