হেলাল আহমদ বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের বালাগঞ্জের এতিহ্যবাহি চড়ক পুজা অনুষ্টিত। বড়শিতে গাথা জল জ্যান্ত তাজা মানুষ। চড়ক গাছে ঝুলিয়ে প্রায় ২০ ফুট শুন্যে ঘুরাতে ঘুরাতে সন্ন্যাসীরা ছুড়ে দিচ্ছেন বাতাসা আর কলা। নয় একে একে ৪ সন্ন্যাসী পিঠে বড়শী বিধে শূন্যে ঘুরে পালন করলেন শিব পুজারই অংশ চড়ক উৎসব।এই দৃশ্য দেখতে এলাকার প্রায় দুই শহস্রাধিক লোক জড়ো হয়েছেন। এ পুজাকে ঘিরে যেনো মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলন পুর
ইউপির হামছাপুর গ্রামের শচীন্দ্র চন্দ দাশ ও মনদেব নাথ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করেছেন চড়ক উৎসবটি। লোকনাথ জায়রেক্টরী পঞ্জিকা মতে ৩১বৈশাখ(১৫ ই মে ২০২৩) সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় চড়ক পুজাটি। এই পুজার মুল আকর্ষন থাকে ৫/৬ জন সন্ন্যাসীর বড়শিবিদ্ধ হয়ে শুন্যে ঘোরা। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে চলে আসছে এ চড়ক পুজা। আর এ পুজাকে ঘিরে স্থানীয় পাশের মাঠে বসে দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য লোকজ মেলা।
এ চড়ক মেলার মুল আকর্ষন বড়শিবিদ্ধ হয়ে শুণ্যে ঘোরানো এ দৃশ্য অবলোকনের সাথে সাথে মেলায় কেনা কাটা করতে সকাল থেকে হাজির হন এ অঞ্চলের হাজার নারী-পুরুষ। দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে। বিকেলের মধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো এলাকা। চারিদিকে সাজ সাজ রব। পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ। বিকাল ৩ টার দিকে ৪ জন সন্ন্যাসী পার্শ্ববর্তী পুকুরে স্নান করেন। এরপর ৪ জন সন্ন্যাসী মাটির কলসে জল (পানি) ভরে মাথায় নিয়ে আসেন তাদের চড়ক গাছের কাছে। সাড়ে ৩টার দিকে সন্যাসীদের পিঠে দুটি বড়শী বিদ্ধ করা হয়। এ সময় স্মরণ করা হয় মহাদেব শিব ঠাকুরকে। এরপর সন্যাসীদের ৮/১০ জন পুরুষ ধরাধরী করে ঝুলিয়ে দেন চড়ক গাছে। অপর গাছের অপর প্রান্তে থাকা কপিকলের বাঁশ জোরে জোরে ঘোরাতে থাকেন ১০/১৫জন যুবক। চড়ক গাছে লটকে দেওয়ার সাথে সাথে কিছু মহিলা তাদের শিশু সন্তানকে তুলে দেন সন্ন্যাসীদের হাতে। তাকে নিয়েই শুন্যে ঘুরতে থাকেন সন্ন্যাসীরা আর এ অবস্থায় ছিটিয়ে দেওয়া হয় বাতাসা আর কলা।
এভাবেই দীর্ঘক্ষন বড়শীতে বিধে শুণ্যে ঘুরে নেমে আসেন সন্যাসীরা।
সন্যাসীরা জানান, সবাই চড়ক গাছে উঠতে পারে না। এতে সাহস লাগে। শিব ঠাকুরের সন্তুষ্টির জন্যই তারা প্রতি বছর চড়ক গাছে চড়ে থাকেন। শরীরে বড়শী বিধার ফলে বড় ধরণের ক্ষতের সৃষ্টি না হলেও সামান্যই রক্ত বের হয়। কিন্তু এর জন্য কোন ঔষধ লাগে না। চড়ক গাছ থেকে নামিয়ে গাছের গোড়ায় থাকা সিঁদুর টিপে দিলেই হয়।
পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই তারা মহাদেবের ভক্ত এবং এ কাজ করে আসছেন।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, এ পুজাকে ঘিরে বসেছে দিনব্যাপী জমজমাট মেলা। লোকজ ঐতিহ্যের হরেক রকম পসরা সাজিয়ে দোকানীরা বেচাকেনা করছেন।
পুজার আয়েজক শচীন্দ্র চন্দ দাশ বলেন, স্বপ্ন আদেশে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আমি এ পুজার অয়োজন করছি।চড়ক পুজা মুলত শিব পুজারই অংশ বিশেষ। নানা আনুষ্ঠানিকতায় তা
সম্পন্ন করা হয়। গত একমাস যাবত আমিসহ সন্যাসীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সবাইকে নিমন্ত্রনের পাশাপাশি সকলের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগীতা নিয়েছি। তিন দিন যাবত আমরা নির্জলা উপবাস করে গতকাল( রবিবার ) রাতে শশ্মান কালি পুজা ও কালি নাচ করেছি। আজ(সোমবার ) শিব পুজা ও চড়কগাছে সন্যাসীদের ঘোরানোর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ মিলন মেলা।
cost tadalafil 20mg cialis walmart best ed drugs
buy generic ramipril order altace 5mg arcoxia 60mg over the counter
vardenafil 20mg cheap oral zanaflex buy hydroxychloroquine 400mg generic
buy mesalamine medication purchase irbesartan online irbesartan 300mg cost
generic levitra hydroxychloroquine 400mg sale plaquenil 400mg canada
buy olmesartan 20mg for sale order benicar 10mg buy generic depakote 250mg
clobetasol ca buy clobetasol tablets cordarone 200mg over the counter
buy diamox 250 mg pills cheap acetazolamide 250mg imuran 50mg uk