প্রকৃতি আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু দিন যতই বেড়ে চলেছে ততই প্রকৃতিকে আমরা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। প্রকৃতির প্রতি ক্ষুধা, অপরিসীম লোভ এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন আজ আমাদেরকে প্রকৃতির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। এই যেমন শৈশবে আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম পাহাড়,গাছপালা কাটা, বিভিন্ন কলকারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের যত্রতত্র হর্নের ব্যবহার, মাদক, ধূমপান ইত্যাদি আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করে। অথচ আজ আমরা করছি কি! মানুষ যখন থেকে আধুনিক সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে তখন থেকেই প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। যেখানে প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করার কথা সেখানে নির্বিচারে গাছপালা, পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে ধূমপানের মতো পরিবেশ বিধ্বংসী কাজও আমরা অনায়াসে করে যাচ্ছি। আর তরুণ প্রজন্ম একটি দেশ ও জাতির স্তম্ভ। আজকের মেধাবী তরুণরাই একদিন এই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে। অথচ ধূমপানের সহজলভ্যতার কারণে আজকের এই টগবগে তরুণ-যুবকরাও ধূমপানের ধোঁয়া উড়িয়ে নিজেদের স্বার্থে দ্বিধাহীনভাবে প্রকৃতি ধ্বংস করে চলেছে। এভাবে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে অযাচিত ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে পৃথিবীকে আমরা ভারসাম্যহীন করে চলেছি। যার কারণে প্রকৃতি ও প্রকৃতির পরিবেশ দিনদিন উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। তাই তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণও দ্রুত কমে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠলে একদিন মানবজাতিকে তার চরম মূল্য দিতে হবে।
আসুন, তাই আমরা প্রকৃতির প্রতি আরো মানবিক ও সহনশীল হই। অযথা গাছপালা, পাহাড় কাটা বন্ধ করি। মরণব্যাধি ধূমপানের ধোঁয়া না উড়িয়ে তার বদলে গাছ লাগাই। এভাবে প্রকৃতিকে আপন করে বুকে টেনে নিই। সুন্দর ও শান্তির আগামী গড়ে তুলতে নিজেকে পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মনোনিবেশ করি। প্রকৃতিকে আপন ও পরম বন্ধু বানাই। আর এভাবেই আমাদের বন্ধুত্ব হোক প্রকৃতির সঙ্গে।
– এবিএম শাইখুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি)।