হোসেন মিন্টুঃ
ষষ্ঠ উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী অপরাপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কে ভোটের মাঠে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখোমুর্খী চ্যালেঞ্জিংয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় তারা। একই দলের একাধিক পদধারী নেতা প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীদের বিভক্তি হয়ে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ শত্রু অর্থ্যাৎ ঘর শত্রু বিভীষণ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে। দুচিন্তায় বেকায়দায় ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থকরা। তারা কাকে বাদ দিয়ে কাকে ভোট দিবেন। আবার অনেকে ভিন্নমত পোষণ করছেন। অন্য দিকে সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (এমপি) কোনোও প্রার্থীর পক্ষে মুখ খোলেননি। একই দলের চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ লড়াইয়ে দলের মধ্যে নতুন কোন্দল সৃষ্টি হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় ভোটাররা। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ,ক,ম শামসুজ্জামান চৌধুরী বলছে, এ বার ভোটের মাঠে ভোটার ও কর্মীদের মূল্যায়ন হবে। নেতাদেরও হবে জনপ্রিয়তা যাচাই। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে যাচাই-বাঁচাইয়ের মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ করে এলাকার উন্নয়ন সহ সর্বক্ষেত্রে গরীব, দুঃখী, দুস্ত অসহায় মানুষের পাশে রয়েছেন। যাকে যোগ্য মনে করবেন ভোটাররা তাকেই ভোট দেবেন। যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তারাই নিশ্চিত ভোটে জয়ী হবেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা নিয়ে সকল প্রার্থীরাই মাঠে সক্রিয়। তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে পটিয়া উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সস্পাদক বদিউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ায় অপরাজনৈতিক চলছে। নেতৃত্ব শুন্যতা বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন তার নেতৃত্বের প্রতি আত্নাশীল। মাঠে আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছি। উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে পটিয়াবাসী আমাকে দেখতে চায়। নির্বাচিত হয়ে পটিয়ার হারানো গৌরব, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে ইয়াবামুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দখলমুক্ত উপজেলা গড়ে তুলব। জয়ের বিষয়ে চ্যালেন্জ্ঞিংয়ে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতির পাশাপাশি টানা দু"বার পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন আধুনিক পৌর শহর গঠন করার লক্ষ্যে শতশ্র কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। উন্নয়নে কোন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, হয়রানি সহ কোনোও অপকর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। পটিয়াবাসী আমার কাজের মুল্যায়ণ করবেন। স্হানীয় আ"লীগ অঙ্গসংগঠন তার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা শীল। সুষ্ঠু শান্তি-শৃঙ্খলা পরিবেশে ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়ী হব। দক্ষিণ জেলা আ"লীগ যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে আ"লীগ রাজনীতিতে জড়িত। দল থেকে কিছু পায়নি। দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লড়াকু সৈনিক হিসেবে স্হানীয় আ" লীগ নীতি নির্ধারকরা দলীয় ভাবে নির্বাচন করার নির্দেশ দিলে আমি নির্বাচন করব। অন্য তাই এ নির্বাচনে অংশ নিলেই বিপুল ভোটে জয়ী হব। মহানগর যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, তার বাবা এম,এ খালেক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মা-ভাজন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে কোন অপরাধ অপকর্ম কান্ডে জড়িত নয়।দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতির পাশা পাশি এম,এ খালেক ফাউন্ডেশন (চাচা খালেক) অর্থায়নে পটিয়ায় মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। রাষ্ট্রিয় কোনো সুবিধা নেয়নি। আমৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গরীব, দুঃখী, দুস্ত অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চাই। উপজেলা কৃষকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার বলেন, সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ শান্তি-শৃঙ্খলা পরিবেশের ভোট হলেই আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব। ১৭ ইউনিয়ন সহ ১ টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা গটিত। ১২৮ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৬ জন। পটিয়া সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান ৫, পুরুষ ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন সহ ১৯ জন মনোনয়ন পত্র যাচাইয়ে বৈধ ঘোষণা করছি।কারোও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। দাখিল শেষ ২ মে, যাচাই ৫ মে, ইসির সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। তৃতীয় ধাপে এ নির্বাচন ২৯ মে স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে।