শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বাইক, ৬ চাকার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চলবেনা চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে,২০ মিনিটেই লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা, সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে!
চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি এখন দৃশ্যমান। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও যান চলাচলের জন্য শিগগিরই এটি খুলে দেয়া হবে। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেনের মধ্যে দুই লেন পুরোপুরি প্রস্তুত। বাকি দুই লেনে চলছে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনসহ নানা ধরনের ফিনিশিং কাজ। মূলত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মহানগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। অথচ এখন সড়ক ধরে ভয়াবহ যানজট পেরিয়ে এটুকু পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। ফলে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসপাড়ায় আসতে জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া ফ্লাইট মিসের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ভোগান্তি হ্রাস এবং পুরো মহানগরীকে যানজট থেকে রক্ষায় এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ নভেম্বর এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করা হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। চালু করা হলেও এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে আরো কিছু সময় লাগতে পারে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চার লেনের দুটি সড়কের একপাশ পুরোপুরি প্রস্তুত। আরেক পাশের কাজ কিছুটা বাকি আছে। বসানো হচ্ছে বৈদ্যুতিক পোল। তাতে লাগানো হবে বাতি। তবে এখনো সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্পিড ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। এদিকে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরুর আগেই এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করছে। -সংগৃহীত