রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ জেড এম মোস্তাক হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল সোমবার তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এ জেড এম মোস্তাক হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেবির জনসংযোগ কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। এখন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
গতকাল সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য পদত্যাগপত্র লিখে নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাঁরা ভিসির জন্য কার্যালয় অপেক্ষা করেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন। তারপর সেখানে গিয়ে দেখা যায়, উপাচার্যের দরজায় একটা কাগজে লেখা ‘বিনা অনুমতিতে এ জেড এম মোস্তাকের প্রবেশ নিষেধ। যদি প্রবেশ করতে দেখা যায় তাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এ জেড এম মোস্তাক হোসেনকে ২০২১ সালের ২৭ মে চার বছরের জন্য রামেবির উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার। ছাত্রজীবনে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁকে পদত্যাগ করাতে তাঁর দপ্তরে যাচ্ছিলেন। রাজশাহীতে অস্থায়ী কার্যালয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালকও ছিলেন এ জেড এম মোস্তাক হোসেন। যদিও বিধি অনুযায়ী তাঁর প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সুযোগ ছিল না।