গত ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে ইউএস আওয়ামী লীগসহ অন্যান সংগঠন।
গত ৩ নভেম্বর ২০২৪,জেলহত্যা দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী ।১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ৩ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও ৪ জাতীয় নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। এই দিনটি স্বরণ উপলক্ষে যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার এবং অংগ ও সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান সংগঠন গত ৩রা নভেম্বর ২০২৪,রবিবার সন্ধ্যা ৬-০০ টা, নিউইয়র্ক এর বাংগালি অধ্যাষিত জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় ইটজি চাইনিজ রেষ্টুরেনট এক স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।খবর বাপসনিউজ।উক্ত স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম
উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদীপ রঞ্জন কর এবং যৌথভাবে পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দুলাল মিয়া হাজী এনাম এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার আলী । এতে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত পাবনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন , যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রমেশ চন্দ নাথ, শেখ হাসিনা মনচের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল ঊদ্দিন জলিল,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন ।সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসিব মামুন,দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃআলী সিদ্দীকী,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এমএ করিম জাহাংগীর ,সাঃবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃআবদুল বাতেন,আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন ,শহিদুল ইসলাম,আতাউল গনি আসাদ,আলী হোসেন গজনবী.একে চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের যুগম সাধারন সম্পাদক রুমানা আক্তার ,বাংলাদেশ আওয়ামী সেচছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত বিশ্বাস,নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম,সহ সভাপতি শাখাওয়াত আলী,সহ সভাপতি আবুল কাশেম ভুইয়া , যুক্তরাষ্ট্র
লেবার লীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহমেদ,শ্যামন কান্তি দাস,সুমন আহমেদ,জহির ,অলিউল ইসলাম,নুরুল আলম মিয়া,মসিদুল ইসলাম হ আরো অনেকে ।আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ থেকে আগত পাবনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড জাকির হোসেন বলেন,১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নজিরবিহীন কালো অধ্যায়;
তিনি আরোও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকাকেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নজিরবিহীনকালো অধ্যায় যা জাতি চিরদিন মনে রাখবে। এর সাথে জড়িতমাস্টারমাইন্ডদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আত্মা শান্তি পাবেনা।সভারশুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার, জাতীয়চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করেদাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরেজাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এমমনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা গুলিকরে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুরঅনুপস্থিতিতে একাত্তর সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হত্যাকাণ্ড ছিলনজিরবিহীন।আজ আমরা পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি সেই চার জাতীয় নেতা, স্বাধীনবাংলাদেশের প্রথম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুরআলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
সভায় বক্তারা দেশের বর্তমানবিশৃঙ্খল পরিস্তিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিচারহীনতা এবং দেশেচলমান হিংসা ও প্রতিশোধপ্রবণ মনোভাবের ব্যাপক বিস্তৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশও এর তীব্র নিন্দা জানান।সভা শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।