শান্তনু চৌধূরীঃ
সমাজ সেবা ও মানবাধিকার অংগনে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেলেন বিশিষ্ট আইনবিদ, কলামিস্ট ও মানবাধিকার সংগঠক এড. জিয়া হাবীব আহসান। শিক্ষা,শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সংগঠন প্রভৃতি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরো চারজন গুণী ব্যাক্তিকে এ সম্মাননা পদক দেয়া হয়। ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক হাবিলদার রজব আলী খাঁ’কে স্মরণ ও গুণীজনদের সম্মাননা-২০২৩ উক্ত অনুষ্ঠিত হয়।এতে সংশ্লিষ্ট ৫ গুণীজনকে উক্ত পদক ও সম্মাননা দেয়া হয় । ইদানীং সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র-চট্টগ্রামের সভাপতি লেখক ও গবেষক মিনহাজুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বেঅনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী সাহিত্যের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন ফারুক, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুবুল মাওলা রিপন, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ সভাপতি সাহাবউদ্দীন হাসান বাবু, কবি ও গণমাধ্যমকর্মী কবি কামরুল ইসলাম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ্দিন, কবি পান্থজন জাহাঙ্গীর, কবি আরিফ চৌধুরী, কবি আলমগীর হোসাইন, অধ্যাপক জিতেন্দ্রলাল বড়ুয়া, কবি আরিফা চৌধুরী, কবি আবু সাঈদ হান্নান,বীমা কর্মকর্তা নজরুল হোসেন শুকরিয়া, খোরশেদ মুকুল, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার, কবি নুরুনন্নহার নিপা, জান্নাতুল আদন, লেখক মুহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, আলমগীর ইমন এবং বাচিক শিল্পী তানভীর সিকদার।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মুহিত বলেন, হাবিলদার রজব আলী খাঁ আমাদের ইতিহাসের এক অনিবার্য নাম। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চট্টগ্রামের বীর সিপাহশালার। আমরা তাঁর গৌরবজনক ভূমিকাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করিনি। কালের আবর্তে আমরা তাঁকে ভুলে গেছি। তাই হাবিলদার রজব আলী এক অবহেলিত নাম। তাই সারাদেশে রজব আলীর সাহস ও কীর্তিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি ইদানীং সাহিত্যর্চচা কেন্দ্রের এ ধরনের উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন।সংবর্ধনার জবাবে এড.জিয়া হাবীব আহসান বলেন, হাবিলদার রজব আলী খাঁ আমাদের উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম সিপাহী বিদ্রোহের একজন বীর নায়ক। তিনি আমাদের এ বিপ্লবী চট্টলার সেই সংগ্রামের সূচনা করে সেই বিদ্রোহের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে দেন। এ ক্ষেত্রেও চট্টগ্রামের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সেই ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সম্মাননা প্রাপ্তি অতি গৌরবের।আয়োজকেরা আমাকে আরো বেশি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট করলেন, তাঁদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই।অনুষ্ঠানে
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সংবর্ধিতজনরা হলেন: কবি কমরুদ্দিন আহমদ (কবিতা), আলী আসকর (শিশুসাহিত্য), ড. শামসুদ্দিন শিশির (শিক্ষা ও গবেষণা), এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান (সমাজসেবা ও মানবাধিকার) এবং অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন ( সাহিত্য ও সংগঠন )। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক এস. এম ওয়াজেদ।অনুষ্ঠানে পাঁচ সংবর্ধিত অতিথিকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
ক্যাপশন:মানবাধিকার সংগঠক এড. জিয়া হাবীব আহসানকে সম্মাননা পদক প্রদান করছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর মোহিত উল আলম।