আশরাফুল আলমঃ
তিনি ৭ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে "বড় ভাল লোক ছিল" চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন ৷
চাঁদপুর পৈতৃক নিবাস
দাম্পত্য সঙ্গী
অজন্তা মিত্র
পিতা-মাতা
গোপেন্দ্র নাথ মিত্র (বাবা)
অমিয়বালা মিত্র (মাতা)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন
প্রবীর মিত্র চাঁদপুর শহরে এক কায়স্থ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বংশপরম্পরায় পুরনো ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর মিত্র। তিনি ঢাকা শহরেই বেড়ে উঠেন৷ তিনি প্রথম জীবনে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র ২০০০ সালে মারা গেছেন। তার এক মেয়ে তিন ছেলে। ছোট ছেলে ২০১২ সালে ৭ই মে মারা গেছেন।
প্রবীর "লালকুটি" থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন ৷ কর্মজীবনে তিনি সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছেন ৷ তিনি বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ৷
স্কুলে পড়া অবস্থায় জীবনে প্রথমবারের মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’। চরিত্র ছিল প্রহরী। এরপর পুরনো ঢাকার লালকুঠিতে শুরু হয় তার নাট্যচর্চা। পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে জলছবি চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ছবির গল্প ও সংলাপ লিখেছিলেন তারই স্কুল জীবনের বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথমদিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। তিতাস একটি নদীর নাম, চাবুকসহ বেশ কিছু ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিতে। পরবর্তী সময় নায়ক না হয়ে চরিত্রাভিনেতার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন তিনি।
প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন, ছিলেন ক্যাপ্টেন, একই সময় তিনি ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের হয়ে। এছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবল খেলেছেন।
প্রবীর মিত্রের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের 'তিতাস একটি নদীর নাম', 'জীবন তৃষ্ণা', 'চাবুক', 'সীমার', 'তীর ভাঙা ঢেউ', 'শেয়ানা', 'রঙ্গীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা', 'মিন্টু আমার নাম', 'প্রতিজ্ঞা', 'অঙ্গার', 'পুত্রবধূ', 'নয়নের আলো', 'জয় পরাজয়', 'চাষীর মেয়ে', 'দুই পয়সার আলতা', 'আবদার' রাজবধূইত্যাদি। ২০২০ ইং ত্রিশালে আমার সাথে একান্তভাবে একটু সময় দিয়েছিলেন অনেক আলাপচারিতা হয়েছিল,মানুষটি ২০২৪ সালে এসে শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে গেছেন,সৃষ্টি কর্তা ওনাকে আরো দীর্ঘজীবি করুন।