রাজনীতি কোনও ধর্ম নয় যে জন্মসূত্রে কোনও সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিককে তার নিজের ধর্মীয় পরিচয়ের মতো তা সরকারি নথিতে দাখিল করতে হবে বলে, তা আজীবন নিয়ে চলতে হবে। এমনটা কখনই যে স্বর্ধমের ভালো-মন্দ সমালোচনা করলেও অথবা নাস্তিক হলেও, আখেরে কোন ধর্মের ব্যক্তি তিনি, তা আজীবন প্রকাশ করতেই হবে কোনও মানুষকে। রাজনীতি যেমন একটি পেশা, তেমনই সাংবাদিকতা একটি পেশা। আর নিরপেক্ষতা হলো সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড়ো হাতিয়ার। এর সাহায্যেই একজন সাংবাদিক সাধারণের মধ্যে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেন, আমজনতাকে তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন নিজস্ব মতামত অনুযায়ী চিন্তাশক্তি ও ভাবনাকে দিশা দেওয়ার মাধ্যমে।
আচ্ছা, কখনও কি কাউকে দেখেছেন?: আমিষ খান, তাই সব্জি খান না! মেছুনি – তাই শুধু মাছ খাবেন, মাংস নয়! পরিবেশবাদী, তাই বাড়িতে কাঠের আসবাব নেই! পশুপ্রেমী, সেজন্য শাকসব্জিও খান না, কারণ গাছেরও প্রাণ আছে! ডাক্তারি পাশ করা খেলোয়াড়, তাই নিজেই নিজের চিকিৎসা করেন।
উত্তর যদি না হয়, তাহলে একজন সাংবাদিক কেন রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে পারবেন না?
সাংবাদিকতা একটা পেশা এবং নিরপেক্ষতা এই পেশার একটি বিশেষ দিক। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে। তাই বলে তিনি যদি সেটা জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে যান, তর্কের খাতিরে তা ধরতব্যের মধ্যে আনা হলেও, তার স্থায়িত্ব বেশিদিন হবে না। কারণ, সাধারণ মানুষ যেমন বোকা নন, তেমনই মেশিন নন – যা বলা হবে, সেই দিকেই তাঁরা এগোবেন। আর এটাও মাথায় রাখা দরকার, সাধারণ মানুষের ভিন্ন মতাদর্শ আছে বলেই, তাঁরা নিজের পছন্দসই মতাদর্শের খবরকে গুরুত্ব দেন। এভাবেই বিভিন্ন সংবাদসংস্থা পরিচিত অর্জন করে, ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় কাজ করে চলা কর্মরত সাংবাদিকরা সেই সংস্থার কর্মচারী। সব সংস্থাই বিভিন্ন নীতি নিয়ে চলে আর কর্মচারীদের সেই নীতি মাফিক কাজ করতে হয়। কোনও সংবাদ মাধ্যমই প্রত্যক্ষভাবে কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন করেন না। পরোক্ষে তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর তা করা হয়, টার্গেট অডিয়েন্সের কথা ভেবে। মুনাফা সেখান থেকেই আসে এবং আসবে। টার্গেট অডিয়েন্স কারা? উত্তর – সাধারণ জনগণ, যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে চলেন (ময়দানে যেসব বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে)। সাধারণ মানুষের অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং মতাদর্শ রক্ষার পরোক্ষ লড়াই হলো সাংবাদিকতা। আর নিরপেক্ষতা হলো সাংবাদিকতার ধর্ম। নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শকে পাশে রেখে টার্গেট অডিয়েন্সের কথা ভেবে হাউস পলিসি অনুযায়ী কাজ করে চলাই নিরপেক্ষতার সবচেয়ে উদারণ। একটি সংবাদমাধ্যম অথবা একজন সাংবাদিক তখনই সফল, যখন সংশ্লিষ্ট সংস্থা অথবা তিনি নিরপেক্ষ থেকেও প্রতিটি জনগণকে তাঁর নিজের মতো করে ভাবতে সাহায্য করেন।
অন্যদদিকে আসুন একটু যৌক্তিক সহকারে কিছু বিষয় আমরা তুলে ধরি, যেমন আপনি রাষ্টে থাকেন আপনি এই রাষ্ট্রেই জন্ম গ্রহন করেছেন। এই দেখ গণতান্ত্রীক দেশ ভোট দেবার অধিকার সরকারি বয়স অনুপাত্রে সর্বনিম্ম ১৮ বছর এই বয়সের উদ্ধে বা নিধারিত বয়স অনুযায়ী ভোট প্রতিটি জনগণ ভোট দেন, ভোট জনগণের রাষ্টিয় অধিকার। কাজে ভোটের সময় প্রতিটি যোগ্য বয়সী মানুষ ভোট দিতে যান, হোক সে বড় ছোট কোন প্রশাসনিক ব্যক্তি, হোক সে সরকারি কর্মকতা, কর্মচারি, হোক সে চাষা, হোক সে মুচিসুচি, হোক সে রিক্সাওয়ালা ইত্যাদী, এখানে কিন্তু যোগ হয় সাংবাদিক ও ,সবাই নিজ নিজ দলের মানুষ বা প্রার্থীকে কিন্তু ভোট দেন, অধিকার টা সবা জন্য সমান, তাহলে এখানে ও কিন্তু একেক জনগণ নিজ নিজ রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী কে ভোট দেয়।
মূল বিষয় হচ্ছে সাংবাদিক কিন্তু এখানে যুক্ত, সাংবাদিকরা কিন্তু ভোট দেয় নিজ নিজ দল বা প্রার্থীকে ।
রাজনীতি কিন্তু এখানে সাংবাদিকের সাথে প্রমানিক।
সব মিলে আমরা উপরে বলে এসেছি কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় নিরপেক্ষীয়তা ই কিন্তু প্রথম মূল ধন।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.