1. admin2@dailysmtv24.com : admin :
  2. admin@dailysmtv24.com : admin :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার্থে একজন সাংবাদিকের কোন ভূমিকা থাকা জরুরি?

শেখ তিতুমীর আকাশ
  • Update Time : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৪ Time View

 

লেখক ;- সাংবাদিক নেতা শেখ তিতুমীর।
সাংবাদিকতাকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। একটি রাষ্ট্রের জন্য সাংবাদমাধ্যম খুবই জরুরী একটি স্তম্ভ। আর সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্র একটি অপরটির সাথে মৌলিকভাবে জাড়িত। গণতন্ত্র রক্ষার্থে একজন সাংবাদিকের ভূমিকা অনেক।
সাংবাদিকদের মূলকাজ হচ্ছে জনগনের হয়ে সরকার কে প্রশ্ন করা। তাদের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করা। যদি একজন সাংবাদিক শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে সরকারের কাছে সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা না তুলে ধরেন তাহলে দেশের কোন উন্নয়ন এমন কি মানুুষের বেঁচে থাকতে গেলে প্রত্যাকটি মানুষ কোন না কোন সমাজে বসবাস করে, সেই সমাজ যদি সব দিকথেকে উন্নয়ন না হয়, সমাজের খুটিনাটি সমস্যা গুলো যদি না তুলে ধরেন সাংবাদিক তাহলে সরকার সহজেই উন্নয়ন করতে পারে না, এখানে উচিৎ প্রতিটি সমাজের সাধারন মানুষ সহ রাজনৈতিকবিদ যারা আছেন সাংবাদিকদের কে সকল কাজে সহযোগীতা করা।
আমাদের দেশে প্রায় দেখা যায় কিছু কিছু ক্ষুদ্র ঘটনা সারা দেশেই ঘটে, একজন সাংবাদিক সমাজের নানান সমসৌাা যখন তুলে ধরতে যায় তখন অনেক সমাজের রাজনৈতিক নেতা ও আমলারা তাদের সহযোগীতা তো করেন ই না উল্ট এক শ্রেনীর সাংবাদিকদের নিয়ে ঐ সাংবাদিকের পিছু নেয়, ফলে সাংবাদিক জ্বরিত থাকায় সমাজের মানুষ যেমন সাংবাদিকদের উপর ভরসা হারায়। যে সাংবাদিক সমাজের সমস্যা গুলো তুলে ধরেছেন, তার হতে হয় বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েন। (বাস্তব)

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে তেমনটা দেখা যায় না। সরকারকে প্রশ্ন করা তো দূরের কথা তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে কিছু সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা যখন তাদের কর্তব্য থেকে দূরে সরে যায় তখন গনতন্ত্র রক্ষা করাটা বেশ কঠিন হয়ে পরে। তবে এতে অনেক কিছু কাজ করে। সেটা সাংবাদিক সমাজ যারা মাঠে কাজ করে তারা ভালকরেই জানে সমাজের ভাল মন্দ তুলে ধরতে গেলে তাদের সাথে কি ঘটে।

খুব বেশি দিনের কথা না আজ আমি যে প্রতিবেদন টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এই ২০২৪শের সেপ্টেম্বর মাসের কথায় বলি কিছু দিন আগে সচিবালয়ে অনেক নামি দামী পত্রিকা সহ অনেক মান সম্পূর্ণ সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছেন বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকার, মূলোতো কার্ড গুলো পেয়ে থাকেন অনেক পত্রিকা ভিক্তিক অনুযায়ী আর কিছু পেয়ে থাকেন সাংবাদিকতার নিয়ে ভাল লিখালেখি যিনি সবার কাছে পরিচিত তারা। আবার গত ১৮/ ১১ / ২০২৪ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মতন একটা সংস্থা সেখানে কমিটির থেকে অনেক সিনিয়র পরিচিত যারা এদেশের অনেক কাজে মানুৃষের সেবায় নিয়োজিত ছিলো তাদের কে দায়িত্ন স্থগিত করা হলো।
বর্তমানে আপনি যেমন দেখবেন সাংবাদিকরা সরকারের হয়ে কাজ করছে। তেমনি কিছু আছে তারা সরকারে বিরোধীতা করছে। কিন্তু সে বিরোধীতা জনগনের জন্য নয়। রাজনৈতিক বিরোধীতা। এসব কিছুই অনেক কাল ধেরেই আমাদের দেশে ছোট খাটো আকারে অনেক ই প্রমানিত।

সাংবাদিকদের অনেক গুলো সংগঠন রয়েছে, যেমন: ডিয়ারু, ডিউজ, সাংবাদিক এসোসিয়েশন, ক্র্যাব ,সাংবাদিক কল্যাণ যুক্ত অনেক নামে বেনামে অনেক সংগঠন কিছু নিবন্ধিত কিছু অনিবন্ধিত ও রয়েছে । আমার কথা হলো সাংবাদিক রাতো নিরোপেক্ষ থাকতে হবে। কিন্তু এই সংগঠনগুলোর নির্বাচনের সময় আপনি দেখবেন দু দল। একদল সরকার পক্ষে আরেকদল বিরোধী পক্ষের। এমনটা কেন আমি জানি না। তবে হ্যা আপনার সাংবাদিকতার বাইরে আপনার ব্যাক্তিগত জীবন আছে, এবং থাকবে, সেটা সাভাবিক কিন্তু আপনি যখন একজন সাংবাদিক তখন আপনি নিরোপেক্ষ থাকাই সাংবাদিকতার কাজে সব কিছুতে শ্রেয়।
কিন্ত আমরা সাংবাদিক সমাজ কয়জন এই নিয়ম মেনে চলি , আমার ১৯ বছরের সাংবাদিকদায় এগুলো খুব কম দেখেছি। এই ভাবেই গণতন্ত্র রক্ষাতে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা হারাচ্ছে। আস্তে আস্তে সাংবাদিকদের উপর থেকে জনগনের আস্থার জায়গাটাও কমে যাচ্ছে। এভাবে একজন প্রকৃত সাংবাদিক যারা সংবাদ সংগ্রহে মাঠে ঘাটে কাজ করে তারা হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন হয়রানীর শিকার।
এই দায় নেবে কে? সবই কি সাংবাদিক সমাজ এর দায় …?
উত্তরে বলব —
সবই সাংবাদিকদের দোষ নয়। আমি এমন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি তারা জনগণের হয়ে কথা বলতে চায় কিন্তু পারে না। এমন না যে সরকার সরাসরি তাদের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। মুখ বন্ধ করে রেখেছে তাদের উপরে যারা থাকে (নিউজ এডিটর, সম্পাদক ,কিছু সংগঠনের হাল ধরা অন অভিজ্ঞ সভাপতি বা চেয়ারম্যান, কিছু কিছু প্রেস ক্লাবের প্রধান কিছু সিনিয়র সাংবাদকরা ইত্যাদী)
এই সব কিছু বেশির ভাগ পরিচালনা হয় প্রভাব শালী রাজনৈতিক আমলা ধারা।

সাংবাদিকতা পড়ার সময় একটা টার্ম পড়ে ছিলাম ‘স্পাইরেল থিউরি’। ব্যাপারটা এমন স্পিং এর মতো কাজ করে। যেমন উপর থেকে চাপ দিলে পুরো স্পিংটাই সংকচিত হয়ে যায়। তেমনই ভাবে কাজ করে এই থিউরি। সরকার উপরে যারা রয়েছেন তাদেরকে চাপ কিংবা খুশি রাখেন। তারাও তাদের নিচের সাংবাদিকদের সরকারকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত রাখে যেভাবেই হোক। তারাও সরকারকে খুশি রাখার চেষ্টা করে।

সর্বশেষ আমার কথা গুলো বলার কারণ হলো সত্য বিষয় গুলো আমার ১৯ বছরের সাংবাদিকতায় সরাসরি অনেক ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছিলো, শুধু আমি নয় এভাবে ৮০% সাংবাদিক তারা সত্য বলতে গেলে ও তাদের থামাতে নানান কৌশল নেয় সরকার ও সরকারের অনেক বড় বড় আমলারা। কিছু সাংবাদিক যেমন আমাদের মতন প্রতিবাদী এমন অনেকে আছে তারা যখন সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় কিছু করে সত্য প্রকাশ করতে কারো তৌয়াক্কা করে না। তাদের ও পড়তে হয় নানান বিপদে। এই হলো অবস্থা বাধ্য হয়ে কিছু সাংবাদিক রাজনীতিতে নিজেকে সম্পিত্ব করে।
একটু বোঝানোর জন্য যৌক্তি দেই যেমন……
ধরেন আপনার পাশে যখন একটা ভাল পরিবেশ থাকবে সেখানে আপনি আপনার পরিবার এর সকলে থাকেন যদি তাহলে তারা একটা ভাল সমাজে বসবাস করলে তাদের চলা ফেরা কাজ কর্মের ও পরিবর্তন হয়। ঠিক অপর দিক যখন একটা বাজে পরিবেশে ঠিক তেমনি বসবাস করলে সবাই একটা বাজে পরিবেশের সাথে থেকে ভাল কিছু তাতের ধারা আশা করা যায় না,তাদের ধারা খারাপ কিছুই হয়।
এমনি যারা প্রতিবাদী যুক্তিবাদী সত্যের পথে সাংবাদিকতা করতে চাইলে তাদের ইচ্ছা থাকলেও নানান বাধাঁর মুখে পড়ে !

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

© All rights reserved © 2025 Coder Boss

Design & Develop BY Coder Boss