হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃ
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস পর হাওয়াইয়ের ফটোগ্রাফার ও অভিযাত্রী হান্নাহ কোবায়াশির খোঁজ পাওয়া গেছে। হান্নাহর পরিবার জানিয়েছে, তাকে নিরাপদ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ দাবি করেছিল, হান্নাহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি ‘স্বেচ্ছায় অদৃশ্য হয়েছেন’ বলেও মত দিয়েছিল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ,১২ ডিসেম্বর ২০২৪,দ্য পিপল জানিয়েছে, হান্নাকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি একটি বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার বোন সিডনি কোবায়াশি ও মা ব্র্যান্ডি ইয়ি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত এক মাস আমাদের পরিবার একটি অকল্পনীয় দুঃস্বপ্নের মধ্যে ছিল।’
আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত স্বস্তি এবং কৃতজ্ঞ যে হান্নাহকে নিরাপদে পাওয়া গেছে। আমাদের এই সময়ে গোপনীয়তা প্রয়োজন, যাতে আমরা আমাদের এই কঠিন অভিজ্ঞতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারি।’
পরিবারটি তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে হান্নাহকে কবে, কোথায় পাওয়া গেছে কিংবা কীভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি। এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তদন্তই ঠিক। তারা জানতে পেরেছেন, হান্নাহ মেক্সিকোতেই অবস্থান করছেন। তবে এর বেশি কোনো তথ্য নেই।
জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী ফটোগ্রাফার হান্নাহ গত ১১ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। জীবনের স্বপ্নপূরণ করতে হাওয়াই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভ্রমণে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বিমান পরিবর্তন করার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই ফ্লাইটে তিনি শেষ পর্যন্ত চড়েননি।
পরিবার জানিয়েছিল, নিখোঁজ হওয়ার সময়টিতে হান্নাহ অদ্ভুত এবং উদ্বেগজনক মেসেজ পাঠিয়েছিলেন।
হান্নাকে খুঁজতে তাঁর বাবা রায়ান কোবায়াশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে রাজ্যটির পুলিশ। ধারণা করা হয়, রায়ান আত্মহত্যা করেছিলেন।
গত ১ ডিসেম্বর একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হান্নাহ স্বাভাবিক অবস্থায় একা একা মেক্সিকোর তিজুয়ানাতে প্রবেশ করছেন। যদিও পরিবার দাবি করেছিল, হান্নাহ স্বেচ্ছায় মেক্সিকোতে যাননি।
হান্নার সন্ধান লাভের খবরে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বলেছে, ‘তার গোপনীয়তার অধিকারকে আমরা সম্মান করি। তার প্রিয়জনদের উদ্বেগও আমরা বুঝতে পারি।’
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.