স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
বিশ্ব সমাদৃত মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার প্রতিষ্ঠাতা গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারীর প্রপৌত্র ও মাইজভাণ্ডার অধ্যাত্ম শরাফতের অন্যতম প্রাণপুরুষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৯৬তম মহান ১০ই পৌষ খোশরোজ, মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলে ভিন্ন আবহের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলের উদ্যোগে খোশরোজ শরিফের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বা’দে ফজর রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানো, দিনব্যাপী খতমে কোরআন, জিকির-আজকার, মিলাদ ও মোনাজাত। বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলা যথা মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলি, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সাতকানিয়া এবং লোহাগাড়া উপজেলাধীন সাড়ে নয় শত এতিমখানা ও হেফযখানা, বৃদ্ধাশ্রম এবং বিভিন্ন আশ্রমের প্রায় ৫৫ হাজার নিবাসীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণ।
মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের দেশ-বিদেশে অবস্থিত সাড়ে সাত শতাধিক শাখা কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি, নিজ নিজ এলাকায় এবং খানকায় মিলাদ মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৯৬তম ১০ পৌষ খোশরোজ শরিফ পালন করেছেন। এদিন গাউসিয়া হক মনজিলে আশেক-ভক্ত-জায়েরীনের সমাবেশের সুযোগ ছিল না।
উল্লেখ্য যে, ১০ই পৌষ খোশরোজ শরিফের দিন গাউসিয়া হক মন্জিলের ঐতিহ্য অনুসারে সকল প্রকার হাদিয়া গ্রহণ বন্ধ থাকে।
এবারও ভিন্ন আবহে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলাধীন সাড়ে নয় শত এতিমখানা ও হেফযখানা ও বিভিন্ন আশ্রমের প্রায় ৫৫ হাজার নিবাসীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে খোশরোজ শরিফ উদ্যাপিত হয়েছে।
গত বছরও বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৯৫তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলার প্রায় ৭৩৬টি এতিমখানা ও হেফযখানা, আশ্রমের ৪১ হাজার নিবাসীদের একবেলা খাবার পরিবেশন করা হয়।