যে সকল সাংবাদিক জনাব আলতাফ হোসেনের “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” করেন এবং সংগঠনটি সাংবাদিকদের একটি সরকারি নিবন্ধিত সংগঠন বলে মনে করেন, তাদের জ্ঞাতার্থে আমার এ পোস্ট। আমি শতভাগ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলছি “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” নামে কোনো সরকারি বা আধা-সরকারি বা সমাজ কল্যাণমূলক দপ্তরের কোনো রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন নেই।
জনাব আলতাফ হোসেন ২০১১ সালে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে “জতীয় সাংবাদিক সংস্থা লিমিটেড” নামক একটি চার জন পরিচালকের নামে একটি বানিজ্যিক ও লাভজনক কোম্পানি গঠন করেছেন, যার রেজিস্ট্রেশন নান্বার সি-৯৫০৭৪/২০১১। প্রতি বছর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং অডিট রিপোর্ট জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত ১৩ বছর যাবৎ তিনি এ কাজটি কখনোই করেননি। তাহলে কি তার তথাকথিত বানিজ্যিক সংগঠনটির অস্বিস্থ আছে? অথচ তিনি প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করে সাধারণ সাংবাদিকগণকে যে গঠনতন্ত্রটি সরবরাহ করে চলেছেন তাতে “সি” বা কমার্শিয়াল, ২০১১ সাল এবং লিমিটেড কথাগুলো বাদ দিয়ে শুধু “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” লিখে “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” নামকরণ করে পূর্বের সংগঠনের গঠনতন্ত্রটি সংযুক্ত করেছেন, যা সম্পূর্ণ প্রতারণা এবং জালিয়াতিমূলক ডকুমেন্টারি অপরাধ।
“জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লিমিটেড” নামক বানিজ্যিক কোম্পানিটি জনাব আলতাফ হোসেনের পারিবারিক ডেভেলপিং কোম্পানি। এটির মোট পরিচালকের সংখ্যা ৪ জন এবং এরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ও সমানসংখ্যক শেয়ারের মালিক। এখানে অন্য কোনো ব্যক্তি বা সাংবাদিকের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগই নেই।
যে সকল সাংবাদিক “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সি-৯৫০৭৪/২০১১ করেন, তাদরকে আমি কোনো প্রশ্ন না করে নিচের প্রোফর্মা যেটি জনাব আলতাফ হোসেনসহ সকল পরিচালকগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে দাখিলকৃত। সেটি মনযোগ সহকারে দেখে পড়ে ও বুঝে মন্তব্য করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করছি। যদি আমার তথ্য ভুল বা অসত্য হয় তাহলে আমি আপনাদের প্রদত্ত যে-কোনো শাস্তি মাথা পেতে নিতে বাধ্য থাকবে এবং সেই সাথে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি জনাব মীর লিয়াকত আলী ভাইকে নিয়ে আপনাদের আলতাফ গ্রুপ সমর্থিত “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করবো মর্মে প্রতিজ্ঞা করছি। অপরদিকে আমার কথা যদি শতভাগ সঠিক হয় তাহলে কি আপনারা সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মীর লিয়াকত আলী ভাইয়ের সাথে একাত্ম হবেন?
এখনো কিন্তু জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার অনেকেই এখনো জীবিত এবং সুস্থ্য রয়েছেন। প্রয়োজনে তাদেরকে ডেকে আমরা একত্রিত হয়ে তাদের কথা শুনে আমরা “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা” খন্ড-বিখন্ডকে রোধ করে যোগ্য ও আগ্রহী সাংবাদিকদের দ্বারাই আমরা এক এবং অভিন্ন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠন ও পরিচালনা করতে কি পারিনা?
আমি কথা দিচ্ছি এই মর্মে যে, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা একত্রীত হলে আমি কোনো পদে থাকবো না। এমনকি সংগঠনটি একত্রিতকরণের পর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মীর লিয়াকত আলী ভাইও কোনো নির্বাহী পদে থাকবেন না। খন্ডিত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থাকে একত্রীকরণের জন্য সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মীর লিয়াকত আলী ভাইকে অনেকটা জোর করেই আমরা এনেছি শুধু সমঝোতার লক্ষ্যে।
আপনাদের সুচিন্তিত ও নিরপেক্ষ মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।