জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহত সাত ব্যক্তির হাতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা বিতরণ অনুষ্ঠানে নিউজ কভার করতে গেলে জুলাইয়ের আন্দোলনে গণহত্যা এক মামলায় সন্দিহান আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করে জাতীয় দৈনিক আমাদের বাংলার সাংবাদিক রহমান হাবিবকে। উক্ত মামলার এজহারে তার নাম নেই। মিথ্যা মামলায় তিনি চট্টগ্রাম জেলখানায় হাজত বাস করছেন। এদিকে তার অসুস্থ স্ত্রী ও পুত্রকে দেখার কেউ নেই। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
২৯ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক সমাজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহত সাত ব্যক্তির হাতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা তুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসনের এই উদ্যোগ গ্রহণ করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে অর্থায়ন করে বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন।
জানা গেছে, অনুষ্ঠানে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে দর্শক সারিতে বসেন দৈনিক আমাদের বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি রহমান হাবিব, এসময় চট্টগ্রামের অনলাইন ভিত্তিক এক সংবাদিকের নজরে আসে। সে কৌশলে কয়েকজন সমন্বয়কদের উসকে দিয়ে হাবিবুর রহমান হাবিবকে হেনস্থা শুরু করে। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যায়, পরে কোতোয়ালি থানায় তাকে প্রেরণ করে। ওখান থেকে একটি হত্যা মামলা অ্যারেস্ট দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে জেল হাজতে রয়েছেন সাংবাদিক রহমান হাবিব।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পরিবারের এক সদস্য বলেন, কথিত অনলাইন সাংবাদিক ও সমন্বয়ক তল্লাশি করে রহমান হাবিবের পকেটে থেকে সাংবাদিক পরিচয় পত্রসহ আইফোন, এন্ড্রুয়েড দুটি ফোন ও ৩০হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
উল্লেখ্য তিনি ‘দৈনিক আমাদের বাংলা’ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি।
লেখক : সাংবাদিক ও সমাজকর্মী।