হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, তাঁর স্ত্রী গুলশান আরা মিয়া, ছেলে ইভান সোবহান মিয়া ও মেয়ে আনিশা গোলাপ মিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তাঁর স্ত্রীর সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫,এ আদেশ দেন।
আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সম্পদ ক্রোক
দুদকের তথ্য অনুযায়ী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের তালিকায় আছে মিরপুরের একটি পাঁচতলা বাড়ি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আটটি হচ্ছে সিঙ্গেল রেসিডেনসিয়াল কন্ডো ইউনিট। আরেকটি হচ্ছে ডুয়েল ফ্যামিলি ইউনিট। এর বাইরে আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২ অক্টোবর ২০২৪,আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার, বাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
জিল্লুল হাকিমের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তাঁর স্ত্রীর সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা আছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ। বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে আদালতকে বলেছে দুদক। জিল্লুল হাকিমের ১৯টি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে জমা আছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী সাঈদা হাকিমের ৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর ছেলে আশিক মাহমুদের একটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।