এ এইচ অনিক
বিশেষ প্রতিনিধি :-
গত কয়েক বছর ধরে সাতলা কান্দি সড়কটির বেহাল দশা যে-কারনে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলা চলরত শত শত যান বহনকে পড়তে হতো নানা সমস্যায়। যেমন মাছ বাহি বিভিন্ন ধরনের পিকাপ গাড়ি, মালবাহী ভারী ট্রাক, নসিমন করিমন,ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যান গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ির চালক সহ এ পথে চলাচল রত সকল যাত্রীদের। সড়কটি ভাঙ্গাচুড়া হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। উল্লেখ্য বরিশাল থেকে খুলনা সহ পচ্চিমের জেলাগুলোতে যাতায়াতের জন্য সব চাইতে সহজ সড়ক এটি। ঢাকা বরিশাল মহা সড়কের ইচলাদি থেকে শুরু হয়ে উজিরপুর, ধামুরা, জল্লা হয়ে সাতলা পর্যন্ত ২৫ ফিট চওড়া সড়কটি নুতান কাজ এবং সাতলা সেতুর পচ্চিম পাড় থেকে কান্দি পর্যন্ত ২০ ফিট চওড়া ৩ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের কাজ শেষ হলে এই পথে ধারাবাশাইল বড়ইভিটা টুঙ্গিপাড়া হয়ে খুলনা যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ভাঙাচুড়া ও দীর্ঘদিনে মেরামতের কাজ না হওয়াতে এই পথে যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এ-কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড়ো বড়ো খোরাকন্দের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় চিকিৎসক ও মায়ের দোয়া ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যান চলাচলে অযোগ্য হওয়া কারন হলো এটি দীর্ঘদিন ভাঙাচুড়ার সহ বিভিন্ন কারণে আমাদের গ্রামের স্কুল ও মাদ্রাসা গামী কোমলমতি ছেলে মেয়েদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি এটি তাই গুরুত্বপুর্ন এই সড়কটি খারাব থাকায় আমাদের এলাকার জনসাধারণের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যেমন এলাকার একমাত্র বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আমাদের মায়ের দোয়া ক্লিনিটি এই সড়কেই অবস্থিত সড়কটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বিকল্প পথে রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেওয়া হয়। যে-কারণে আমাদের এখানে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। আশা করি সড়কটি নির্মাণের ফলে আবার ও আমরা পূর্বের ন্যায় ফিরে যেতে পারব, এতোদিন সড়কটি খারাপ থাকায় এলাকার প্রসূতিদের সুচিকিৎসা সহ অসুস্থ রোগীদের বরিশাল গোপালগঞ্জ সহ দূরের পথে যেতে হতো এতে আর্থিক ক্ষতি সহ নষ্ট হতো গাড়ি টায়ার এবং গাড়ির দামী সব যন্ত্রাংশ।
প্রতিদিন সাতলা বাগধা হারতা সহ এ-অঞ্চলের বসবাস রতদের বিভিন্ন জরুরি কাজে উজিরপুর উপজেলা ও বরিশাল যেতে হলে কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হতো। যেমন পয়সারহাট গৌরনদী ছাড়াও বিভিন্ন সড়ক ব্যবহার করে যাতায়েত করতে হতো আমাদের এবং নানা ভোগান্তির শিকার হতে হতো এলাকার জনসাধারণের এ বিষয়ে আরও অনেকে একমত পোষণ করেব এবং বলেন সাতলা থেকে খুলনায় যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাতলা থেকে কান্দি বা ধারা বাশাইলের তিন কিলোমিটারের এই সড়কটি অতি জন গুরুত্বপূর্ণ।
এক সময় এই সড়ক দিয়ে সাতলার একতা বাজার থেকে কোটালীপাড়া হয়ে সরাসরি ঢাকার পথে চলাচল করতো বড়ো বড়ো বাস। সড়কটি দীর্ঘদিন ভাঙাচোড়া থাকার পরেও আমাদের এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত সাদা মাছের পিকাপ নিয়ে ঢাকা কুমিল্লা ছাড়াও ভাঙ্গারহাট রাধাগঞ্জ খুলনা গোপালগঞ্জ হারতা বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলাতে যাতায়াতের সময় নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় গাড়ির চালক ও মৎস্য চাষিদের। তাই দীর্ঘদিন পরে হলেও এই সড়কটির মেরামতের কাজ শুরু হওয়াতে চলাচলকারী সকল যান বহনের মালিকগণ সহ এই পথে চলাচলকারী সকল যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।সংশ্লিষ্টদের কাছে সবার একটাই দাবি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির মেরামতের কাজ শেষ হবে।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.