সাধারণত ১০টি ট্যাবলেটের এক ফাইল ফলিসন ওষুধের দাম তিন টাকা। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, ১০টি ট্যাবলেটের এক ফাইল ওমেপ ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের মূল্য ৪৫ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এভাবে চমেক হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে অগ্নিমূল্যে। ফলে ঠকছেন ক্রেতারা, বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে রোগীদের, দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ ভঙ্গ করছে হাসপাতালের সঙ্গে করা চুক্তি।
অথচ নিয়ম মতে, ন্যায্য মূল্যের এই ওষুধের দোকানে সাধারণ ফার্মেসি থেকে ১৫ শতাংশ কম মূল্যে ওষুধ বিক্রি করার কথা সাইন বোর্ডেই লেখা আছে। তবুও নানাভাবে ক্রেতাদের অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হচ্ছে ওষুধ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনের নিচতলার ন্যায্যমূল্যের মেডিসিন শপকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অননুমোদিত বিভিন্ন ওষুধ ও অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রির জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি চালিত অভিযানে অংশ নেন উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ ও মাহমুদা আক্তার এবং ক্যামেরাপারসন মো. আফতাবুজ্জামান।
রোগীর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ কন্ঠে এসএমটিভির এই প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়, লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। এসবের পর কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও কোন এক অজানা কারনে আবারো রোগীদের গলাকাটা শুরু হয়ে যায়৷ ভুক্তভোগীরা এই অসাধু বানিজ্য থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।