*বসুন্ধরা জামায়াতের কর্মী সমাবেশ*
ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্যতর ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের জনশক্তির প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গত ১৪ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বসুন্ধরা থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাসারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইউসুফের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সে মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং গণমুখী বাংলাদেশ গড়ার জন্য নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে সেসব সফলভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশকে বেকারত্ব ও দারিদ্রমুক্ত করতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ জন্য আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্যবসার সুবিধার জন্য কর্জে হাসানা, ক্ষেত্রমত অফেরৎযোগ্য আর্থিক অনুদান এবং ব্যবসায়িক উপকরণ প্রদান অব্যাহত রেখেছি। আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। একই সাথে আমরা স্বামী পরিত্যাক্তা ও বিধবাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মূলত, দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এসব আমাদের প্রাক প্রস্তুতি। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী আওয়ামী বাকশালী সরকারের পতন হলেও দেশ এখনো পুরোপুরি মাফিয়াতন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত হয়নি। তারা বিভিন্ন রূপ ও বেশ ধরে নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কখনো আনসারের ছদ্মাবরণে, কখনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর খোলস পরে; আবার কখনো গার্মেন্টস শ্রমিক হয়ে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ ও বিপ্লবী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। কিন্তু স্বাধীনচেতা ও আত্মসচেতন জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারা কোনভাবেই থেমে যায়নি। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
*ফার্মগেটে জামায়াতের দাওয়াতি সমাবেশ*
আর কোন সরকারকে স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না
-সাইফুল ইসলাম খান মিলন
দাওয়াত দ্বীন বিজয়ের অন্যতম অনুসঙ্গ; তাই আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পণিত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
তিনি গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের গোল চত্বরে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষ্যে তেজগাঁও থানা জামায়াতের ২৬ নং ওয়ার্ডের আয়োজিত এক দাওয়াতী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ফরিদ আহমেদ রুবেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা থানা দক্ষিণের আমীর আবু সাঈদ মন্ডল, তেজগাঁও থানা দক্ষিণের নায়েবে আমীর এস এম মনির আহমদ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হক, ডা. সৈয়দ তোফিকুল ইসলাম, আলী আকবর হোসেন, রাফি উদ্দিন রাফি ও তেজগাঁও থানা শিবির সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে টুটি চেপে হত্যা করেছে। জনপ্রশাসন, বিচারবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিণত করা হয়েছিলো অঙ্গ সংগঠনে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে দলদাস ও আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিলো। তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং দেশে আইন ও সাংবিধানিক শাসন ফিরে আনার জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। একই সাথে পতিত স্বৈরাচারের যাবতীয় অপকর্মের বিচার হওয়া জরুরি। সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে আবারো দুবৃত্তায়ন ও ফ্যাসীবাদী শক্তি ফিরে আসবে। কিন্তু দেশপ্রেমী জনতা এদেশে নতুন করে স্বৈরাচার হতে দেবে না বরং তাদের যেকোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবে। তিনি অতি দ্রুততার সাথে সংস্কার ও বিচার শেষ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
*উত্তরায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প*
কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব থানা গণসংযোগ পক্ষ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প সেবা প্রদান করা হয়েছে। থানা আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটার আতিক হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ঢাকা ১৮ আসনের গণমানুষের নেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী মাহবুবুল আলম। উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পূর্ব থানা নায়েবে আমীর সুলতান আহমেদ সহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
বার্তা প্রেরক-
মু. আতাউর রহমান সরকার
প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ঢাকা মহানগরী উত্তর