কী দুঃসহ, কী অসহনীয়! এমন দৃশ্য দেখে স্থির থাকা যায় না। আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো বোমা পড়ছে আর একঝাঁক শিশুর রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন দেহ শূন্যে বহুদূর পর্যন্ত লাফিয়ে উঠছে। কী অপরাধ এই শিশুদের! কী সম্পর্ক যুদ্ধের সঙ্গে তাদের! এই যে এত এত শিশু, মুহূর্তেই তাদের শৈশব ‘খুন’ হয়ে যাচ্ছে। বোমার আঘাতে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে তাদের নিথর দেহ, নিস্তব্ধ চারপাশ। দূর থেকে ভেসে আসছে বোমার শব্দ আর রাতের অন্ধকারে শূন্যে আগুনের হলকা, ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে জীবন থমকে যাচ্ছে প্রতি মুহুর্তে। দিনের পর দিন বন্যার মতো এরকম নানা ছবি ও ভিডিওতে গণমাধ্যমগুলো ভেসে যাচ্ছে। গাজার ১৪১ বর্গকিলোমিটারজুড়ে চলছে সশব্দ ধ্বংসযজ্ঞ। চলছে নির্বিচার গণহত্যা, বাস্তুচ্যুতি, সন্ত্রাস, অধিকার হরণ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পুরো এলাকাকেই বধ্যভূমি বানিয়ে ফেলেছে ইসরায়েল। অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে গাজার মানুষ। অথচ বিশ্বের মুসলমানপ্রধান রাষ্ট্রগুলো এ ব্যাপারে পুরোপুরি নীরব; তারা যেন বধির, অন্ধ হয়ে গেছে।
‘পবিত্র ভূমি’ ফিলিস্তিনে আসলে কী চায় ইসরায়েল? কেন তারা স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের তাদেরই ভূমি থেকেই উচ্ছেদ করতে চায়? মাটির দখল নিতে মানুষ হত্যা করতে কেন তারা বেপরোয়া? প্রশ্নগুলো ছোট। কিন্তু উত্তর অনেক দীর্ঘ। সারকথা হলো— ইহুদিরা জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের প্রতিটি ইঞ্চি জমিই নিজেদের দখলে নিতে চায়। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পেছনে কাজ করছে এক শক্তিশালী মতাদর্শ—জায়নবাদ। এই মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার পথে ফিলিস্তিনিদের সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত বা নির্মূল করতেও তারা পিছপা হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, যে পবিত্র ভূমিতে আল-আকসা মসজিদ বা বায়তুল মুকাদ্দাস অবস্থিত, সেই জেরুজালেম দখলের অধিকার ইসরায়েলের ইহুদিরা কোথা থেকে পেল?
আল-আকসা চত্বরজুড়ে রয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যার কোনোটি মুসলমানদের কাছে পবিত্র, কোনোটি ইহুদিদের, আবার কোনোটি খ্রিস্টানদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থাপনাকে ঘিরে তিনটি ধর্মেরই দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে।
আজও জেরুজালেমকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে মানা হয়। পূর্ব জেরুজালেমের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পরিচিত ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে, আর ইহুদিদের কাছে এটি পরিচিত ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে।
ইসলামের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করেন, তখন শুরুতে মুসলমানরা নামাজ আদায় করতেন বায়তুল মুকাদ্দাসের (জেরুজালেম) দিকে মুখ করে। সেটিই ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। পরে আল্লাহর নির্দেশে কিবলা পরিবর্তন করে মক্কার কাবা শরিফের দিকে মুখ করে নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক হয়। ৬৩৭ সালে দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) জেরুজালেম জয় করেন। তখন কাব আল-আহবার নামে এক ধর্মান্তরিত ইহুদি খলিফা উমরকে টেম্পল মাউন্টে অবস্থিত ফাউন্ডেশন স্টোন নামের পবিত্র পাথরের উত্তরে একটি মসজিদ তৈরির পরামর্শ দেন। তবে সেখানে মসজিদ নির্মিত হলে নামাজিদের মক্কা এবং সেই পাথরের দিকে একসঙ্গে মুখ করে নামাজ পড়তে হতো। কিন্তু খলিফা উমর পাথরটির দক্ষিণ পাশে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন, যেন কেবল কাবার দিকেই মুখ থাকে। পরে এই মসজিদ সম্প্রসারিত হয়ে আজকের আল-আকসা মসজিদে রূপ নেয়। আল আকসা মসজিদে সিসার তৈরি একটি গম্বুজ আছে। কিন্তু ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে অধিকাংশ আলোচনায় আমাদের চোখে ভাসে সোনালি গম্বুজ আর নীল সাদা রঙের আরবি ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সাজানো দৃষ্টিনন্দন এক স্থাপনার ছবি। আসলে এটিই কুব্বাতুস-সাখরা বা ‘ডোম অব রক’ নামে পরিচিত। আগে যেই ফাউন্ডেশন স্টোন বা পবিত্র পাথরের কথা বলেছিলাম, তার ঠিক ওপরেই এটি নির্মিত। উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নির্দেশে ৬৯১ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, সাখরা বা ফাউন্ডেশন স্টোন নামক নীলাভ পাথরটি মুসলিমদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিরাজের রাতে সেখান থেকেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর আরশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আল্লাহ তার রাসুলকে সাক্ষাৎ দেন এবং তার অনুসারীদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধানসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আদেশ দেন। এ ছাড়া বলা হয়ে থাকে, ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফেরেশতা হজরত ইসরাফিল (আ.) বিশ্বজগত ধ্বংসের জন্য শিঙায় ফুঁ দেবেন। নবীর মিরাজকে স্মরণীয় করে রাখতে ডোম অব রকের উত্তরে আরেকটি গম্বুজ নির্মাণ করা হয়। ‘ডোম অব অ্যাসেনশন’ নামের স্থাপনাটি উমাইয়াদের তৈরি। সেখানে আরও আছে ‘ডোম অব প্রফেট’ বা নবীর গম্বুজ। ইসলামের ইতিহাসে বলা আছে, মিরাজে যাওয়ার আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ওই স্থানে দাঁড়িয়ে আগের সব নবী ও ফেরেশতাদের সঙ্গে আদায় করা নামাজে ইমামতি করেন। আরও আছে, ‘বুরাক দেয়াল’ বা পশ্চিম দেয়াল। মুসলিমদের বিশ্বাস, মিরাজের রাতে ওই দেয়ালে নবী তার বাহন বুরাককে বেঁধে রেখেছিলেন। আল আকসা চত্বরে ‘ডোম অব চেইন’ নামের আরেকটি গম্বুজযুক্ত স্থাপনা আছে। বলা হয়, ওই স্থানে শেষ বিচার অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একটি শেকল দিয়ে পুণ্যবানদের কাছ থেকে পাপীদের আলাদা করা হবে। আর ‘ডোম অব স্পিরিট’ নামের আরেকটি গম্বুজযুক্ত স্থানে শেষ বিচারের দিন সব রুহু আল্লাহর কাছে প্রার্থনার জন্য একত্রিত হবে। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা পৃথিবীর সব মুসলিমের কাছে জেরুজালেমকে পবিত্র আর গুরুত্ববহ করে তুলেছে।
জেরুজালেম খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাদের নবী যিশুখ্রিস্ট মুসলিমদের কাছে নবী হজরত ঈসা (আ.) পরিচয়ে সম্মানিত। এই নবী জেরুজালেমের অদূরে বেথলেহেমে জন্মেছিলেন। খ্রিস্টধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল থেকে জানা যায়, যিশুখ্রিস্টের ধর্ম প্রচার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড জেরুজালেমেই ছিল। এই শহরেই রোমানরা তার বিচার এবং তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে। যে পথ দিয়ে যিশুকে ক্রুশে বেঁধে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পথটি আজও রয়েছে। জেরুজালেমের পুরাতন শহরে তার সমাধিটিও চিহ্নিত। স্থানটির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ‘চার্চ অব হলি সেপালচার’। অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী গির্জাটিকে তাদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করেন। চতুর্থ শতাব্দী থেকে গির্জাটি খ্রিস্টানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। ‘চার্চ অব হলি সেপালচার’ নিয়ে একটি ঘটনা বলে রাখা যায়। খ্রিস্টানদের কাছ থেকে জেরুজালেম জয় করার পর হযরত উমর (রা.) যখন আল আকসা চত্বরে যান, তখন নামাজের সময় হলে সেখানকার খ্রিস্টান শাসক সফ্রোনিয়াস তাকে ওই গির্জায় নামাজ আদায়ের জন্য অনুরোধ করেন। খলিফা উমর জানান, যদি তিনি সেখানে নামাজ পড়েন, তবে পরে মুসলমানরা গির্জাটি ভেঙে মসজিদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। তাই তিনি গির্জার বাইরে নামাজ আদায় করেন। খ্রিস্টানদের কাছে যিশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্থান ও তার দেহ রাখার স্থানটি এভাবেই রক্ষা করেন খলিফা উমর।
এখন প্রশ্ন হলো, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও ইহুদিরা একাই কেন ‘শান্তির শহর’ নামে পরিচিত জেরুজালেমের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়? কেন ইসরায়েল রাজধানী তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিতে চায়? এর কারণ বুঝতে হলে কয়েক হাজার বছর পেছনে যেতে হবে। বাইবেলের বর্ণনা বলছে, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দে হজরত দাউদ (আ.) জেরুজালেমের অধিপতি হন। পরে তিনি এই শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী করেন। তার সন্তান হজরত সুলাইমান (আ.) টেম্পল মাউন্টে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেন, যা ফার্স্ট টেম্পল নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৬ সালে ব্যবিলনীয়রা এটি ধ্বংস করে দেয়। খ্রিস্টপূর্ব ৫১৬ সালে আগের উপাসনালয়ের জায়গাতেই সেকেন্ড টেম্পল নির্মাণ করা হয়। পরে ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা এটিও ধ্বংস করে। ইহুদি ধর্মের ভবিষ্যদ্বাণীতে রয়েছে, আগের দুই উপাসনালয়ের স্থানেই থার্ড টেম্পল বা তৃতীয় উপাসনালয় গড়ে তোলা হবে। আগে যে ‘ফাউন্ডেশন স্টোনে’র কথা বলা হলো, সেটিই ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্টের সবচেয়ে পবিত্র জায়গা। হিব্রু ভাষায় পাথরটির নাম ‘এভেন হা-স্তিয়া’। ইহুদিরা এটিকে এতটাই পবিত্র মনে করে যে, অনেকেই এর কাছেও যায় না। তাদের বিশ্বাস, ইহুদিদের প্রাচীন উপাসনালয়ের সবচেয়ে পবিত্র অংশ ‘হোলি অব হোলিস’ ঠিক এই পাথরের ওপরেই ছিল। ইহুদি ধর্মীয় বই ‘জোহারে’ বলা হয়েছে, এই স্থানটাই নাকি পুরো মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু। পাথরটিতে একটি ছোট ছিদ্র রয়েছে, যা দিয়ে নিচে ‘আত্মার কুয়া’ নামে একটি গুহায় যাওয়া যায়। ইহুদিরা এই পাথরের দিকেই মুখ করে প্রার্থনা করে। হজরত সুলাইমান (আ.) টেম্পল মাউন্টে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেন ঠিকই, তবে তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন হজরত ইব্রাহিমের (আ.) নাতি হজরত ইয়াকুব (আ.)। বাইবেলে তিনি জ্যাকব নামে পরিচিত, আর ইহুদি ইতিহাসে তার আরেক নাম ‘ইসরায়েল’। একবার বীরশেবা শহর থেকে হারানের দিকে যাত্রার সময় তিনি একটি স্থানে বিশ্রাম নেন এবং সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমে তিনি একটি স্বপ্ন দেখেন, যেখানে আল্লাহ তাকে জানান যে তিনি যে ভূমিতে শুয়ে আছেন, সেটি তাকে এবং তার বংশধরদের জন্য দেওয়া হবে। এভাবেই ‘পবিত্র ভূমি’র প্রতিশ্রুতি আসে ইসরায়েলের বংশধরদের জন্য। ঘুম থেকে উঠে হজরত ইয়াকুব (আ.) স্থানটি চিহ্নিত করে রাখেন এবং পরে আল্লাহর নির্দেশে সেখানে একটি কোরবানগাহ (উপাসনার স্থান) নির্মাণ করেন। পরে নবী সুলাইমান (আ.) তার হাতেই সেই স্থানে প্রথম উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ধর্মীয় ইতিহাস অনুযায়ী, নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কেও আল্লাহ একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন— পবিত্র ভূমি ‘কেনান’ তার বংশধরদের জন্য নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ, এই ভূমির মালিক হবেন তার বংশধরেরাই। আর এই দাবি থেকেই আজকের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল জেরুজালেমসহ পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করছে এবং দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজার মানুষের কান্নার চেয়ে ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধানদের গলার স্বর আরও উঁচু হওয়ার কথা ছিল। প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠার কথা ছিল। কেননা, গাজা বা ফিলিস্তিনের সঙ্গে মুসলমানদের নাড়ির সম্পর্ক। এটা তো দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, ইসরায়েল গাজায় নৃতাত্ত্বিকভাবে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মুছে ফেলতে চাইছে। পরিকল্পিতভাবে তারা জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। বিশ্ব মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের মানচিত্র মুছে দিতে চাইছে। এর প্রতিক্রিয়ায় অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিবেকবান মানুষ যখন প্রতিবাদের ঝড় তুলছে, সেখানে ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধানরা নীরব থাকছেন। ইসলামি দেশগুলোর যে আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে- অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসি; সেই সংগঠনটিও জোরালো ভূমিকা রাখছে না। সাতাশ জাতির আরব লিগের ভূমিকাও প্রায় নীরব। ভবিষ্যতে ইতিহাসের গতিপথ কোন দিকে যাবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে জাতিগত যে নিধন চলছে গাজায়, তার অবসানে ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধান এবং মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রগুলো যে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না, সেটা স্পষ্ট। প্রধানত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র আর ধনী ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন করছে বলেই তারা নীরব রয়েছে। গাজায় চলছে জাতি নিধন ও মুসলিম নিধন। তবে ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধানরা সহযোগিতা না করলেও মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকরা এখন প্রতিবাদে মুখর। সেই সঙ্গে পশ্চিমের শান্তিপ্রিয় মানুষরাও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিশ্বজনমতের চাপে হয়তো ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হতে পারে।