যারা ইঞ্জিন চালিত গাড়ি চালান তারা এই লেখাটি প্রিন্ট করে কিছু ফটোকপি সাথে রাখুন। চলার পথে প্রত্যেক ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে এক কপি করে দিন।
মাননীয়
ট্রাফিক সার্জেন্ট/BRTA পরিচালক।
বিষয়ঃ অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা অপসারণ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সড়কে ও জাতীয় মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা সম্পূর্ণ অপসারণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন, অন্যথায় সকল বৈধ যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ সকল প্রকার ট্যাক্স মওকুফ বা স্থগিত করার দাবি।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, যদি আপনারা ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করতে না চান তাহলে তাদের জন্য রাস্তার দুই পাশ দিয়ে আলাদা রাস্তা তৈরি করে দিন। একই রাস্তায় ব্যাটারি রিকশা আর ইঞ্জিনের গাড়ি চলতে পারে না। কারণ তারা একমুখী সড়কের উল্টো দিক দিয়ে চলে। পুরো রাস্তা দখল করে চলাচল করে ফলে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয় যা অ্যাম্বুলেন্স-ফায়ার সার্ভিসের পথে বাধা হয় ও অন্যান্য ইঞ্জিন চালিত গাড়ির গতি কমিয়ে মানুষের মুল্যবান কর্মঘন্টা নষ্ট করে। তাদের সামনে জরুরী ব্রেক করলে তারা গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গাড়ির পিছনে সাইডে ধাক্কা মেরে মুল্যবান টেললাইট, হেডলাইট, লুকিং গ্লাস ইত্যাদি ভেঙে ফেলে। তারা সিগনাল না দিয়েই লেন পরিবর্তন করে ও ইউটার্ন নেয়। তারা অলিগলি থেকে দ্রুত গতিতে মেইন রোডে উঠে পড়ে এবং হাইওয়েতে বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির সাথে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষকে আহত নিহত করে। এভাবে শহরের প্রধান সড়কে ও মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যদি এভাবেই চলে তাহলে অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ যাবতীয় রোড ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করুন। যখন একটা বড় গ্রুপ বিনা ট্যাক্সে চলতে পারে, তখন বাকিরা কেন ট্যাক্স দিবে? আইন যদি সবার জন্য সমান না হয় তবে আইন মানার বাধ্যবাধকতাও নেই।
চট্টগ্রাম শহরে একটা ব্যাটারি রিকশা দৈনিক দুই হাজার টাকা আয় করেও কোন ট্যাক্স দেয় না। একেকটা মালিকের গ্যারেজে ৪০/৫০ টা করে রিকশা রয়েছে। অথচ তারা নাকি গরীব! গরীব পরিচয়ে সরকার তাদের দয়া দেখিয়ে সব অপরাধ মাফ করে দেয়। অন্যদিকে লোন নিয়ে কেনা একটা প্রাইভেট কারের মালিককে বছরে ৪০-৫০ হাজার টাকা রোড ট্যাক্স দিতে হয়। সেই ট্যাক্সের টাকায় রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ হয়। ট্র্যাফিক পুলিশের বেতন হয়, অথচ পুলিশ সেই মধ্যবিত্তের ওপর জুলুম করে। সামান্য ভুলে ৫/১০ হাজার টাকার মামলা দিতে বিন্দুমাত্র দেরি করে না। এই অটোরিকশার কারণে সিএনজি, মিনিবাস উবার পাঠাও, রাইড শেয়ারিং প্রাইভেট কার, এরা সবাই যাত্রী পাচ্ছে না। ফলে এইসব পেশার মালিক গাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন। বৈধ যানবাহনের ব্যবসা ধ্বংসের মুখে। ফলাফল সরকার বিপুল অংকের রোড ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির বড় কারণ।
অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন জীবনের নিরাপত্তা ও নিরাপদ সড়কের কথা বিবেচনা করে। বৈধ চালক/মালিকদের বাচানোর কথা বিবেচনা করে, মানুষকে মৃত্যুফাঁদ থেকে বাচানোর জন্য চট্টগ্রাম শহরের মেইন রোডে ও হাইওয়েতে ব্যাটারি রিকশা বন্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করুন। আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
নিবেদক বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।