1. admin2@dailysmtv24.com : admin :
  2. admin@dailysmtv24.com : admin :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

গোদাগাড়ীতে মাদকের নীল ছোবল: ধ্বংসের মুখে যুবসমাজ, নেপথ্যে ধরাছোঁয়ার বাইরের ‘মাদক সম্রাটরা’

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৮ Time View

 

​​[মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল:গোদাগাড়ী রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি]
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
​রাজশাহীর সীমান্তবর্তী উপজেলা গোদাগাড়ী এখন মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সীমান্ত দিয়ে আসা মরণঘাতী হোরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের জোয়ারে ভাসছে এই জনপদ। ফলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে এলাকার যুবসমাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাটরা বীরদর্পে তাদের অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ভেস্তে যাচ্ছে প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযান।
​মাদকের ‘হটস্পট’ যখন গোদাগাড়ী
​অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার মহিশাল বাড়ি, মাদারপুর, ডিম ভাঙ্গা, রেলগেট, বাইপাস, এন বি, সারাংপুর, সুলতানগঞ্জ, আমতলা, লালবাগ এবং হলের মোড় এলাকাগুলো এখন মাদকের নিরাপদ স্বর্গরাজ্য। এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন চরাঞ্চল দিয়ে প্রতিনিয়ত দেশে ঢুকছে হোরোইন ও ফেনসিডিলের বড় বড় চালান।
​পরিসংখ্যানে ভয়াবহ চিত্র
​বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৬০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে যার ৯১ শতাংশই কিশোর ও তরুণ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চশিক্ষিত ও বেকার। গোদাগাড়ীর চিত্র আরও ভয়াবহ। মাদকসেবনের ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও খুনের মতো অপরাধ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে বাবা-মা খুন কিংবা স্বামী-স্ত্রীর কলহের মর্মান্তিক খবর এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
​নেপথ্যে ‘অদৃশ্য’ শক্তির ইশারা
​অভিযোগ উঠেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার তালিকায় নাম থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু অসাধু নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পুলিশি অভিযানগুলো অনেক সময় লোক দেখানো বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ছে।
​অভিভাবক মহলে উদ্বেগ
​বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাদক সেবনের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। গোদাগাড়ীর সচেতন অভিভাবকরা বলছেন, “আমাদের সন্তানরা তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন রাজনীতির চেয়ে আমাদের সন্তানদের জীবন নিয়ে বেশি চিন্তিত। যারা মাদকের গডফাদারদের আশ্রয় দিচ্ছে, তারা কি এই ধ্বংসের দায় নেবে না?”
​মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বক্তব্য
​মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ পর্যন্ত ইয়াবা, আইস, হেরোইনসহ ২৪ ধরনের মাদক উদ্ধার করলেও চোরাচালান থামানো যাচ্ছে না। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
​আসছে তালিকা…
​গোদাগাড়ীর মাদক সিন্ডিকেটের শিকড় কতদূর এবং কারা এই মরণনেশার মূল হোতা? এলাকার তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট ও তাদের আশ্রয়দাতাদের নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন আসছে আগামী পর্বে।
​চোখ রাখুন…

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

© All rights reserved © 2025 Coder Boss

Design & Develop BY Coder Boss