বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রূহের মাগফিরাত কামনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের মসজিদে আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এমন এক নেত্রী, যিনি বাংলাদেশকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করতেন। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট, সংকট ও দুর্যোগে তিনি বারবার ঝুঁকি নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ দরদ ছিল। ৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন মানবিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর বেগম খালেদা জিয়ার জনসমাবেশ হয়েছিল চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে। সেই সমাবেশে তিনি দল বা প্রার্থীর জন্য নয়, দেশ ও মানুষের অধিকারের কথা বলেছিলেন। গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন।
২০১২ সালের ভয়াবহ পাহাড়ধস ও দুর্যোগ এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকটের সময়ও বেগম খালেদা জিয়া মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, চিকিৎসা ঝুঁকি ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতা জেনেও তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি কেবল রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, এটি মানবিক নেতৃত্ব।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি থাকা, পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়া সবকিছুর মাঝেও তিনি দেশের চিকিৎসক ও দেশের মাটির ওপর আস্থা রেখেছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার ভাবনায় ছিল দেশের মানুষ, আহত নির্যাতিতদের কল্যাণ।
দেশপ্রেম ঈমানের অংশ, এই বিশ্বাসে তিনি আজীবন অবিচল ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি—তিনি যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
দোয়া মাহফিলে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ছবির ক্যাপশন:
বেগম খালেদা জিয়ার রূহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।