নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে যারা ট্রেন চলা বন্ধ থাকার খবর জানতেন না এবং অগ্রিম টিকেট কেটেছেন তারা বিপাকে পড়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন অনেক যাত্রী।
এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও ২৯ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১০ দিনের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে রেলওয়ে। অন্যদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অগ্রিম কাটা টিকিট ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, রানিং স্টাফদের দাবি বহুলাংশে মেনে নেওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি। এ কারণে রেলের যাত্রা বাতিল হলে আগে কেনা টিকিটের টাকা বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ফেরত দেওয়া হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার) সারা দেশে রেল যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রেলের বিকল্প হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ রেলরুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন হতে চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীরা তাদের ক্রয়কৃত রেলটিকিটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন। এসব স্থান হতে ঢাকাতে এই সার্ভিসের মাধ্যমে আসতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
এদিকে, রেলের বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রীরা তাদের কেনা রেল টিকিটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
যাত্রীরা বলছেন, রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে সেটি জানতাম না। স্টেশনে এসে দেখি টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। আবার দ্রুত গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সরকারের উচিত দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা। সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন নাজনিন সুলতানা নামের এক শিক্ষিকা। জরুরি প্রয়োজনে তিনি ঢাকায় যাওয়ার জন্য সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট কেটেছিলেন। তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট কেটে ছিলাম। স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। এসব আন্দোলন কারণে সাধারণ জনগণ কেন কষ্ট পাবে?
অগ্রিম টিকিট কেটে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী রহিম উল্লাহ। তিনিও দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। পরে বাসে করে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শুধু নাজনিন সুলতানা কিংবা রহিম উল্লাহই নয় ট্রেন বন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.