চট্টগ্রাম প্রতিনিধি- মোঃ আবদুল আলী : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে কুরআনের কথা বলা যায়নি। মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
তিনি আজ চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালী থানার উদ্যোগে শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ উপলক্ষ্যে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সভাপতি মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলে কোতোয়ালী থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা রেজাউল করিম মুরাদ ও আব্দুল হামিদ।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যখন ইসলামের কথা বলেছি তখন আমাদেরকে জঙ্গি বলা হয়েছে। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বললে আমাদেরকে দেশদ্রোহী, স্বাধীনতা বিরোধী বলা হয়েছে। তারা আমাদের বাকরুদ্ধ করতে চেয়েছে। রাজপথে মিছিল মিটিং করতে দেয়নি। ঘরোয়া বৈঠক থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেক মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের উপর লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা গুম করেছে। নির্যাতন নিপীড়ন করে পঙ্গু করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে দেশ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শ্রমিক জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। ৩৬শে জুলাইয়ের আন্দোলনে বহু শিক্ষার্থী ও শ্রমিক জনতার রক্তের উপর নতুন স্বাধীনতা নির্মিত হয়েছে। আমরা সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। শত শত শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আজকের বাংলাদেশে আমরা উঁচু কণ্ঠে স্বাধীনতার কথা বলি। শ্রমিকের অধিকারের কথা বলতে পারছি। ভোটের অধিকারের কথা বলতে পারছি। স্বস্তির সাথে কুরআন সুন্নাহর কথা বলতে পারছি। চাঁদাবাজ দখলদার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলি।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিল, শেখের বেটি পালায় না। কিন্তু ইতিহাসের কী নির্মম পরিণতি শুধু শেখ হাসিনা নয়, তার মন্ত্রীপরিষদসহ পুরো পার্লামেন্ট পালিয়েছে। যারা পালাতে পারেনি তারা গভীর আত্মগোপনে চলে গিয়েছে। আজকে তারা দেশ থেকে পাচার করা টাকায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। তারা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা ব্যাংক লুটপাট ও ডাকাতি করেছে। তারা দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। তারা নাকি আবার দেশে ফিরে আসবে। আপনি ফিরে আসুন, আপনার জন্য ছাত্র জনতা ফাঁসির দড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে। আপনাকে জনতার মঞ্চে ফাঁসি দিয়ে জনতা ঘরে ফিরে যাবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রহমত উল্লাহ, আব্দুল মান্নান কুতুবি,জাহিদুল ইসলাম তুহিন, মোস্তাক আহমদ, কামরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন সোহেল, খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইউছুপ, রহমত আলী, রিয়াজ উদ্দিন ও মুহাম্মদ জোবাইয়ের প্রমুখ।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.