বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত কিশোরের নাম মো. রাহাত (১৪)। সে বহদ্দারহাট এলাকার মো. লিয়াকতের ছেলে এবং চান্দগাঁও সানোয়ারা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়। রাহাত চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন জুনিয়র ক্রিকেট দলে খেলতো।
চান্দগাঁও থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস জানান, মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পর আর ফেরেনি রাহাত। স্কুল ছুটির পর তার পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছিল। বুধবার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে মাত্র ১২ বছর বয়সের রাহাতের সাথে গত দুই মাস আগে, বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছোটখাটো ঝগড়ার পর তার মা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলেন। ভাবা হয়েছিল, ঘটনা সেখানেই শেষ। কিন্তু বাস্তবতা আরও নির্মম। ২ মাস যাবত হত্যার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে দিন যাপন করছিল তার বন্ধুরা। সুযোগ পেয়েই ১৩/১৪ জন স্কুলের বন্ধু রাহাতকে বেড়ানোর কথা বলে হামিদ চরে নিয়ে যায়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তারা। রাতভর খোঁজার পর সকালে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাহাত কাদের সঙ্গে স্কুল থেকে বের হয়েছিল এবং কোথায় গিয়েছিল, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ জানায়।
এদিকে সচেতন অভিভাবকদের দাবী, সন্তানদেরকে টাকার মেশিন, ক্ষমতার মেশিন বা পজিশনের মেশিন না বানিয়ে মানুষ বানান। পড়ালেখার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃত্ত করুন। কিশোরদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, বাছারা তোমরা কেন এই বয়সে এত অস্থির, অসহনশীল, নির্দয়, এত মারমুখী, কেন এত রক্তের নেশা তোমাদের কেন এত অবক্ষয়! কোমল মনটা কেন এত রুক্ষ কঠিন! সহপাঠীদের সামান্য ঝগড়া থেকে হত্যা এটা করতে তোমাদের কোন দ্বিধা নেই। কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। কত কষ্ট, কতকিছু সহ্য করে এই বয়সটা পর্যন্ত এনেছে। ওহে ছেলেরা তোমরা কেন বোঝনা!
তারা আরো বলেন, কিশোরদের মনস্তাত্ত্বিক এই পতনের দোষ ক্ষেত্রবিশেষে আমরা অভিভাবকদের। আমরা সন্তানদেরকে GPA-5 এর নেশার দৌড় প্রতিযোগিতায় দাড় করিয়ে দেই। ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার -সাইন্টিস্ট-পি এইচ ডি হোল্ডার-্ বি সি এস ক্যাডার বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কেউ মানুষ বানাতে চাইনা।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.