অন্ধকার খাঁদের কিনারে এসেও ফিরে আসতে পেরেছিলেন আলোর জীবনে। এটা একটা অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত। জন্মদিনে রইলো অনেক শুভকামনা।
কলকাতার মেয়ে। জন্ম কলকাতায় ২২ জুন ১৯৫১খ্রি. পিতা শ্রী অমলেন্দু দাশগুপ্ত, তাঁরা চার বোন। পড়াশোনা করেছেন কুইন অব মিশনে এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুলে, পাশাপাশি বেঙ্গল মিউজিক কলেজে নাচ শিখেছিলেন জয়শ্রী। ১৯৬৮খ্রি. ‘মিস ক্যালকাটা’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭০খ্রি, সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে ‘সূর্য কন্যা’ ছবিতে অভিনয় করে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে উত্তম কুমারের সাথে ‘অসাধারণ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। টালিউডে অভিনীত তাঁর অন্যান্য ছবিগুলো হলো – একদিন সূর্য, অচেনা অতিথি, সব্যসাচীসহ আরও বেশকিছু। বাংলাদেশে জয়শ্রী কবির অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে সীমানা পেরিয়ে, সূর্যকন্যা, দেনা পাওনা, শহর থেকে দূরে, পুরস্কার, রূপালী সৈকতে, মোহনা, নালিশ প্রভৃতি।তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন প্রবীর রায়, সে সূত্রে জয়শ্রী রায়। ওই ঘরে তাঁর একটি কন্যা সন্তান এবং বিচ্ছেদ। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সিনেমা পরিচালক আলমগীর কবিরের স্ত্রী জয়শ্রী কবির। আলমগীর কবিরের বিখ্যাত সব ছবিরই নায়িকা তিনি। ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি আলমগীর কবিরের মৃত্যুর পর একমাত্র সন্তান লেনিন সৌরভ কবিরকে সাথে নিয়ে জয়শ্রী চলে যান লন্ডনে। লন্ডনের সিটি কলেজে ইংরেজির শিক্ষক তিনি। অদ্যাবধি সেখানেই অবস্থান করছেন। লন্ডনে সাক্ষাত হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খানের সাথে। তিনি লিখেছেন,‘অবশেষে পেলাম দেখা। জয়শ্রী কবির.. বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আজীবন।’ রেজাউল করিম মুকুল, ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৪খ্রি.