মোঃ আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম থেকে।। সিজিপিওয়াই হতে তিনটি ট্রাকে রেলওয়ে স্কার্প পাচার করছে মর্মে গোপন সংবাদ জানতে পারে সাধারণ জনগণ । তারই সুত্রদরে ট্রাক ( ফেনী- ট ১১.০৪৫৭, ঢাকা মেট্রো-ট ১৬.৪৮৩৪, ঢাকা মেট্রো-ট ১৬.৬৩৩৪ ) গুলো অনুসরণ করে জনসাধারণ। ফেনী- ট ১১.০৪৫৭ গাড়িটি ১২.০০ টার সময় বাহির হয়ে ইসহাক ডিপো টুল রোড, স্টেডিয়াম,সাগরিকা মোর হয়ে সরাইপাড়া মাজারের সামনে রাস্তার পশ্চিম পাশে থামে তারপর অবজারভেশনে ছিল প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়ি রওয়ানা হয়, গাড়ি চলে ঝড়ের গতিতে, সীতাকুণ্ড স্কেলে গাড়িটিকে থামাতে ব্যর্ত হয়, গাড়ি চলে যায় আরও দ্রুত গতিতে, সন্দেহ আরও বাড়ে তারপর মিরসরাই থানাধীন খইয়াছড়া স্কুলের উত্তর পাশে গাড়িটিকে থামায় সাধারণ জনগণ। তারপর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় ড্রাইভারের কাছে গেইট পাস ও ইসুনোট নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিজিপিওয়াই তে শাহাদাত হোসেন আজাদ হেড টিএক্সআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন গত ২৭/০৮/২০২০ হতে ১০/০৭/২০২৪ পর্যন্ত তখন দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সাঙ্গু, চট্টগ্রামের কণ্ঠ, চট্টলার খবর, সহ বিভিন্ন পত্রিকায় “সিজিপিওয়াই থেকে চুরি হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ” শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যমতে জানা যায়,সিজিপিওয়াই হেড টিএক্সআর ডিপোর আওতায় স্কার্প ( মেয়াদহীন ট্রেনের বগি ও যন্ত্রাংশ) কাটিংয়ে ব্যাপক,অনিয়ম-দুর্নীতির অপরাধে হেড টিএক্সআর শাহাদাৎ হোসেন আজাদকে ২৮/০৫/২০২৪ বদলি করা হলেও, তিনি মাত্র ১মাস ১৯ দিনের মাথায় ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আবারও সিজিপিওয়াই-তে হেড টিএক্সআর পদে যোগদান করে ১০ দিন পরে বড় লোহার চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ০৯/০৯/২৪ সকালে ৩টি ট্রাক হেড টিএক্সআর ডিপোর সামনে এনে শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল আলম বাবলু ও নুর উদ্দিনের সহায়তায় পূর্বের ন্যায় মাল বোঝাই করে গাড়ি বের করে দেয়। কিন্তু চোরের ১০ দিন গিরস্তের ১ দিন, এবার ট্রাক ভর্তি মাল মিরসরাই থানার আশে-পাশে গিয়ে ধরা পড়ে।ধরা পড়ার পর জানা যায় কোন প্রকার কোন চালান বা ডকুমেন্টস ছাড়া মালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোন ডকুমেন্টস ছাড়া স্কার্পগুলো শাহাদাৎ হোসেন আজাদ কিভাবে দিল আর গেইটে দায়িত্বরত আরএনবি কিভাবে এই গাড়িকে যেতে দিল? নিশ্চয়ই এটির সাথে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কোন না কোন ভাবে জড়িত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম , পিজুস পাল, জয়নাল আবেদীন, বিপুল দাস রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতে মিরসরাই হাইওয়ে পুলিশ, এসআই বোরহান উদ্দিন কে ফেনী- ট ১১.০৪৫৭ গাড়িকে ড্রাইভার ও হেলপার সহ হাওলা করে।
মিরসরাই হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন আটককৃত গাড়ির রেলওয়ে যন্ত্রাংশ কাগজপত্রের বিষয়ে একুশের কণ্ঠে মুঠোফোনে বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যাচ্ছে ইসুনোট, গেইট পাস নেই।
হেড টিএক্সআর মোঃ শাহাদাৎ হোসেন আজাদকে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোনে বারবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টিএক্সআর মোঃ জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে একুশের কণ্ঠকে বলেন, ইসুনোট ও গেইটপাস ছাড়া গাড়ি বাহির হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
গেইটের দায়িত্বে থাকা আরএনবি এসআই ফরহাদ বলেন, আমি গেইটপাস পেয়েছি বিকাল ৫.০০ টার সময় তিনটা একসাথে।
চুরির বিষয়ে জানতে সিএমই/ই তাপস কুমার দাস কে মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি।
রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়ে মানবাধিকার ও সমাজকর্মী মোঃ এরশাদ বলেন, রেলওয়েতে আজাদ এর সংখ্যা অনেক। রেলওয়ে একটি সেবামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের সুনাম রক্ষা করতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। তখন রেলওয়ে থেকে আজাদ এর সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করি।