১. নেগ্রিটো
২. অস্ট্রিক
৩. দ্রাবিড়
৪. মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয়
নেগ্রিটো এবং অস্ট্রিক জাতিগোষ্ঠী থেকেই বাঙালি জাতির উৎপত্তি। আজকের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উৎপত্তি চতুর্থ পর্যায়ের মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী থেকে।
সুতরাং, উৎপত্তি বিবেচনায় বাংলার প্রাচীনতম ও প্রধানতম নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠী আমরা বাঙালিরাই। বাংলায় আদিবাসী পরিচয় দেয়ার অধিকার বাঙালিদের।
পাহাড়িদের পরিচয় তারা উপজাতি। চাকমারা মূলত চম্পকনগর নামে একটি রাজ্যে বাস করত। চম্পক নগর ত্রিপুরা রাজ্যেরই কাছাকাছি কোন জায়গায় অবস্থিত ছিল। চাকমারা সেখানে আনুমানিক দুশ থেকে আড়াইশ বছর কাল অতিবাহিত করার পর পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর ত্রিপুরা থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্বদিকে সরে আসতে থাকে এবং পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং তার উপনদীসমূহের উপত্যকা ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে।
চম্পক নগর কি বাংলাদেশে? উপজাতিরা প্রথম শুরু করলো গ্রাফিতি নিয়ে। এরপর শুরু করলো কল্পনা চাকমা কাহিনী, তারপর আদিবাসী কেন ডাকা হয় না সেটা নিয়ে। তারপর বললো পাহাড়ে সেনা থাকতে পারবে না।
পাহাড়ীদের হাতে এক বাঙালি হত্যার অভিযোগ উঠে তাহলে এখন বলেন দোষটা কার? ৫ আগস্ট থেকে পাহাড়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাম দিয়েছে জুম্মুল্যান্ড। আপনি বাঙালিকে খুন করে টরে পরে সেনাবাহিনী আসলে বলবেন শান্তি চাই, এইটা কোন লেভেলের বলদামি?
পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবেন আর ধরা পড়লে নিরীহ ট্যাগ ব্যাবহার করবেন? পাহাড় আপনাদের হইল কবে? কোন ক্ষমতা বলে পাহাড় নিজেদের দাবি করেন? পাহাড় কি কারো বাপের সম্পত্তি? বাঙালিরা কেন ওখানে থাকবেনা, সেটেলার কেন হবে একটা দেশের মধ্যে সেই দেশের মানুষ?
আমাদের বলা হচ্ছে সেটলার। অথচ পাহাড় আমাদের। সবসময় আমাদেরই ছিলো। পাহাড়ে বাঙালী ও থাকবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ও থাকবে। দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন ‘জটিলতা’ নেই। দেশ ‘বিভাজনের’ প্রশ্নে কোন আপোষ নেই। অধিকারের প্রশ্নে যতই মাত্রা থাকুক না কেন, কেউ যদি বাংলাদেশ ভেঙ্গে স্বাধীন ‘জুমল্যান্ড’ বানানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করে। সে নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহী |
Collected: